সমতট ডেস্ক; আগামী বছর হজ এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর ন্যূনতম কোটা ২ হাজার থেকে ১ হাজারে বহাল রাখার জন্য সৌদি সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল শুক্রবার (২০ জুন) সৌদি আরবের জেদ্দায় হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে সেদেশের ডেপুটি মিনিস্টার ড. আল হাসান ইয়াহিয়া আল মানাখারার সঙ্গে এক বৈঠকে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এই অনুরোধ জানান। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনায় কৃতজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণ:
ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ২০২৫ সালের সুশৃঙ্খল ও সাবলীল হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বিশেষ করে অননুমোদিত হজ পালন বন্ধ করা, হাজীদের যথাসময়ে নুসুক কার্ড সরবরাহ, মাসায়ের এলাকায় ঝামেলাহীন পরিবহন সেবা ও নিবিড় স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, এবং মৃত্যুহার কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সৌদি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
২০২৬ সালের হজ ব্যবস্থাপনার জন্য সুপারিশ:
ড. খালিদ হোসেন ২০২৬ সালের হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ ও মসৃণ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- নুসুক মাসার ড্যাশবোর্ডকে তথ্যসমৃদ্ধ করা: এবং এই তথ্য পরিবীক্ষণ ও যাচাইয়ের ব্যবস্থা রাখা।
- মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে লাগেজ ব্যবস্থাপনা: হাজিদের লাগেজের জন্য আরএফআইডি ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা।
- মাসায়ের এলাকায় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি: টয়লেট সুবিধা বৃদ্ধি এবং পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা।
- মিনা ও আরাফার তাঁবুতে বেডের সাইজ বাড়ানো: হজযাত্রীদের আরাম নিশ্চিত করার জন্য।
- হজের আবশ্যিক খরচ অগ্রিম ঘোষণা: হজযাত্রীদের আর্থিক প্রস্তুতির জন্য।
- পরিবহন ব্যবস্থা: হজযাত্রী পরিবহনে বিমান বাংলাদেশ ও সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি তৃতীয় ক্যারিয়ার চালু করা।
সৌদি আরবের আশ্বাস:
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার ড. আল হাসান বাংলাদেশের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশগুলো মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং এগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেন। তিনি বাংলাদেশের হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করতে এবং রোডম্যাপ অনুযায়ী সব কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পন্ন করার অনুরোধ জানান।
এ সময় ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, কাউন্সিলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম, কনসাল (হজ) মো. আসলাম উদ্দিন এবং সচিবের একান্ত সচিব মো. কামরুল ইসলাম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।