ড. মুহাম্মাদ সাইদুল ইসলাম: ২০০৬ সালের ২৮শে অক্টোবর। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বীভৎস একটা দিন। শেখ হাসিনার নির্দেশে লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা; তারপরে লাশের উপর নৃত্য! আমি তখন কানাডায়। মিডিয়া মারফত এই পৈশাচিক দৃশ্য দেখে ঐ দিনই ভেবেছিলাম, এরা যদি এবার ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশকে ঠিকই এক নারকীয় ফ্যাসিবাদের দিকে নিয়ে যাবে। হলোও তাই। ২০১০ সালেই ফ্যাসিবাদের নানান বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে নিজের বিশ্লেষণে। আর তখন থেকেই শুরু হলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার একাডেমিক লড়াই।
সোশ্যাল মিডিয়ার তুলনায় একাডেমিয়ার ইমপ্যাক্ট এতোটা ইমিডিয়েট না হলেও রিগোরাস নলেজ তৈরি, ফ্যাসিবাদী বয়ানগুলোকে ধ্বসিয়ে ফেলা, এবং সত্য ও শক্তিশালী ডিসকোর্স নির্মাণে ক্রেডিবল একাডেমিক পাবলিকেশন সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। পরিবেশ এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন আমার একাডেমিক গবেষণার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলেও বাংলাদেশের ফ্যাসিবাদ নিয়ে শুরু করি এক নতুন একাডেমিক লড়াই।
১.
যেসব রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের আত্মপ্রকাশ ঘটে সেগুলোর সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ নিয়ে ২০১০ সালে প্রিয় স্যার সৈয়দ সিরাজুল ইসলামকে সাথে নিয়ে লিখেছিলাম এক বুক চ্যাপ্টার: “Political cultures that retard democratization in Bangladesh: A socio-political analysis” আর এইটা পাবলিশ হয়েছিলো ২০১১ সালে Democracy in Bangladesh: Essays in Memory of RI Chowdhury বইয়ে। রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে ছিলো Political totemism, Political obduracy and vendetta, Projection politics, Politicism, Structural opposition, এবং Creation of binary spaces. বইটা ঢাকা থেকে ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়। ঐ সময় অনলাইন এবং প্রিন্ট মিডিয়াতে এসব নিয়ে বাংলায় এবং ইংরেজিতে লিখেছি প্রায় অর্ধশত ছোট আকারের নিবন্ধ।
২.
বুক চ্যাপ্টারের ইমপ্যাক্ট খুব বেশী একটা লক্ষণীয় না হলেও ২০১১ সালে আরো দুইটা জার্নাল আর্টিকেল একাডেমিয়াতে বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। প্রথমটা ছিলো: “Minority Islam in Muslim majority Bangladesh: The violent road to a new brand of secularism” যা পাবলিশ হয় Journal of Muslim Minority Affairs জার্নালে। এই আর্টিকেলে পাওয়া যাবে ফ্যাসিবাদের প্রধান modus operandi যা পরের বছরগুলোতে আরো পরিষ্কার হয়ে ফুটে ওঠে।
৩.
২০১১ সালের দ্বিতীয় আর্টিকেলটা ছিলো ফ্যাসিবাদের অনিবার্য ফলাফল অর্থাৎ চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে। আর্টিকেলটার অরিজিনাল টাইটেল ছিলো: “Fascism in the name of democracy: Islamism, violent secularism and human rights violation in Bangladesh” যা পাবলিশ হয় Muslim World Journal of Human Rights এ। রিভিউ শেষে যখন আর্টিকেলটা প্রেসে যাবে, তখন এডিটরের অনুরোধে টাইটেলের প্রথমাংশ পরিবর্তন করে Trampling democracy রাখা হয়, তবে ভিতরে ফ্যাসিবাদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা অপরিবর্তিত থাকে। আর্টিকেলটা শেষ হয় সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্কের একজন প্রফেসরের উদ্ধৃতি দিয়ে: AL is not simply a fascist political party in Bangladesh, it’s a fatal disease for the nation (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু একটা ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল নয়, এটা জাতির জন্য এক চরম দুরারোধ্য ব্যাধি)।
৪.
২০১১ সালের ডিসেম্বরে ইষ্ট লন্ডন মসজিদে এক সেমিনারে ফ্যাসিবাদের আগমন নিয়ে এক পূর্বাভাস দিই। লন্ডনের কয়েকটি টিভি চ্যানেলে আমার আলোচনা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। আমার কথা শুনে সেদিন কিছু লোক হাসাহাসি করলেও চোরতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদের জন্য তাদেরকে আর বেশী দিন অপেক্ষা করতে হয় নাই। কয়েক বছরের মধ্যেই ফ্যাসিবাদ তার ভয়াল রূপ নিয়ে হাজির হয় এই জনপদে।
৫.
এরই মধ্যে নজরুল ভাইকে (বর্তমানে প্রফেসর, শাবিপ্রবি) পেলাম আমার পিএইচডি স্টুডেন্ট হিসাবে। ফলে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজন প্রত্যক্ষ সহযোগী জুটে গেলো। দুজন মিলে বাংলাদেশকে নিয়ে একাডেমিক অঙ্গনে এক নতুন ধারা তৈরি করার চেষ্টা করলাম। ধারাবাহিক ভাবে নজরুল ভাই’র সাথে যেসব আর্টিকেল পাবলিশ করেছি, সেগুলোর কয়েকটি হলো:
(a) “Politics and Islamic Revivalism in Bangladesh: The Role of the State and Non-State/Non-Political Actors.” Politics, Religion & Ideology 19(3):326-353.
(b) “Islam, Politics and Secularism in Bangladesh: Contesting the Dominant Narratives.” Social Sciences 7(37):1-18.
(c) “Islam and Democracy: Conflicts and congruence.” Religions 8(104): 1-19.
(d) “‘Environmentalism of the Poor’: Tipaimukh dam, ecological disasters, and environmental resistance beyond borders.” Bandung: Journal of the Global South 2(27): 1-16.
৬.
ফ্যাসিবাদ এবং ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের হাত থেকে মুক্তির জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসসহ অনেকেই ৫ই আগস্ট ২০২৪ কে “দ্বিতীয় স্বাধীনতা” হিসাবে চিত্রায়িত করেছেন। অনেকের মতো আমিও এই দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখে আসছি অনেক আগ থেকে। আমার এই স্বপ্নের বিষয়টা উপসম্পাদকীয় আকারে প্রথম পাবলিশ করতে হিম্মত দেখায় The Financial Express. আর্টিকেলটার টাইটেল ছিলো “Towards a second wave of liberation” যা প্রকাশিত হয় ২০১৫ সালের ১২ই মার্চে। ছাত্রজনতা পুরো দেশবাসীকে সাথে নিয়ে এক অসাধারণ গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পুরো বিশ্বকে হতবাক করে এই দ্বিতীয় স্বাধীনতার মাইলফলক রচনা করে ৫ই আগস্ট ২০২৪ এ। আমি কখনোই দাবি করিনি এবং করবো না যে ছাত্রজনতা আমার লেখায় অনুপ্রাণিত হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। শুধু কতোটুকুই বলবো, দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বপ্ন সম্বলিত লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর পর সত্যি সত্যিই এই মাহেন্দ্রক্ষণ আসায় একাডেমিক লড়াইয়ের একজন নগণ্য সৈনিক হিসাবে আমি খুশি, এবং আল্লাহর কাছে হাজার শোকর। আলহামদুলিল্লাহ।
৭.
নজরুল ভাইর পিএইচডি থিসিসের উপর ভিত্তি করে ২০২০ সালে বিশ্ববিখ্যাত পলগ্রেভ ম্যাকমিলান থেকে আমরা পাবলিশ করলাম Islam and Democracy in South Asia: The Case of Bangladesh বইটি। ইসলাম বিদ্বেষী সেক্যুলার এবং ফ্যাসিবাদের দোসররা বাংলাদেশে ইসলাম, ইসলামের ইতিহাস, ইসলামে গণতন্ত্র, ইসলামিক দল, ইসলামি রাজনীতি ইত্যাদি নিয়ে যেসব উদ্ভট বয়ান বা ন্যারেটিভ তৈরি করেছেন, তা এই ৩৩১ পৃষ্ঠার বইটা রিগোরাস একাডেমিক পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে ভেঙে চুরমার করেছে। এখানে আমরা ঐতিহাসিক, দার্শনিক, এবং সমাজতাত্ত্বিক এপ্রোচ এবং মেথোডোলোজি অনুসরণ করে বইটাকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছি যে এটা বাংলাদেশের ইতিহাস এবং সমাজ পাঠকে এক নতুন ধারা উপহার দিয়েছে। তবে এগুলো আমাদের কথা নয়, বরং বেশকিছু বুক রিভিউতে উঠে এসেছে। বইটি সম্পর্কে প্রয়াত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি প্রফেসর এমাজ উদ্দীন আহমেদ লিখেছেন:
“Critical, insightful and thought-provoking, Islam and Democracy in South Asia is a real masterpiece on religion and politics uncovering the critical nexus between Islam, political Islam and democracy in Bangladesh. Rigorous methodologies, thought-provoking debates, and convincing arguments are among the hallmarks of the book.”
“বইটি নি:সন্দেহে ক্রিটিক্যাল, অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ এবং চিন্তা-উদ্দীপক। এটি দক্ষিণ এশিয়ার ইসলাম, গণতন্ত্র, ধর্ম ও রাজনীতির উপর একটি অসাধারণ মাস্টারপিস। বাংলাদেশে ইসলাম, রাজনৈতিক ইসলাম এবং গণতন্ত্রের মধ্যকার জটিল সম্পর্ককে চমৎকারভাবে উন্মোচন করেছে বইটি। কঠোর গবেষণাপদ্ধতি, চিন্তা-প্ররোচনামূলক বিতর্ক, এবং বিশ্বাসযোগ্য যুক্তিই হলো বইটির আসল বৈশিষ্ট্য।”
৮.
ফ্যাসিবাদের মূল টার্গেট ছিলো জামায়াত এবং শিবির। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র নিজস্ব রাজনীতি থাকলেও ফ্যাসিবাদীরা জামায়াতকে নিয়েই বেশি রাজনীতি করে আসছে এবং চরম ফ্যাসিবাদী কায়দায় সকল কুকর্মের দায়ভার জামায়াতের উপর দিয়ে চালিয়ে দিয়ে জামায়াতের উপর ফ্যাসিবাদী নিষ্পেষণকে বৈধ এবং নর্মালাইজ করেছে। এর ফলে তারা জামায়াত-শিবির সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের ধারণাকে একদিকে যেমন কুয়াশাবৃত্ত করতে সক্ষম হয়েছে, অন্যদিকে তাদেরকে চরম ডিহিউমানিজ করে একটা punching bag এ রূপান্তরিত করেছে। অবস্থা এতোটাই জঘন্য পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে জামায়াত-শিবির নিধনই ফ্যাসিবাদীদের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক বিকাশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যায়! পরিস্থিতি এমন একটা ভীতিকর পর্যায়ে পৌঁছে, যে এগুলো নিয়ে কথা বলা কিংবা কলম ধরার সাহস হারায় প্রায় সকলেই।
“স্বাধীনতা বিরোধী”, “রাজাকার”, “জঙ্গীর মদদদাতা” ইত্যাদি ফ্যাসিবাদী প্রোপাগান্ডার আড়ালে একদিকে যেমন তারা চাপা দিয়েছে জামায়াতের আসল চেহারা, অবদান এবং কর্মপদ্ধতি; অন্যদিকে এই মোড়কগুলোকে কাজে লাগিয়ে নির্বিচারে জামায়াত এবং শিবির নিধনে ব্যস্ত থেকেছে এই ফ্যাসিবাদী দল। এই ভয়ংকর সময়ে জামায়াতের উপর বই লেখা মানেই এক চরম বিপদ ডেকে আনা। সবকিছু জেনেশুনেও এক আল্লাহর প্রতি ভরসা করে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে নিয়োজিত থেকেছি জামায়াতের উপর একটা বস্তুনিষ্ঠ একাডেমিক বই লেখার কাজে। জামায়াত কেন এবং কিভাবে ফ্যাসিবাদী আক্রমণের লক্ষবস্তুতে পরিণত হলো? চরম নিপীড়ন এবং নিষ্পেষণের পরেও কেন জামাত নীরব এবং নিথর হয়ে যায়নি? এই নিয়োলিবারাল বিশ্বায়নের যুগে দেশে এবং দেশের বাইরে চরম বৈরিতার মধ্যে জামায়াত কিভাবে রাজনীতি করে যাচ্ছে এবং তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎই বা কি? এসব প্রশ্নের চুলচেরা একাডেমিক বিশ্লেষণ নিয়েই ড. সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম স্যারকে সাথে নিয়ে বিশ্বের দরবারে হাজির করেছি “দ্য জামায়াত কুয়েশ্চন ইন বাংলাদেশ”।
বিশ্ববিখ্যাত একাডেমিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান রাউটলেজ (লন্ডন) কর্তৃক প্রকাশিত ২৭৮ পৃষ্ঠার এই বইটিতে স্থান পেয়েছে মোট এগারোটা চ্যাপ্টার। জামায়াতের ৮৩ বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথম ক্রেডিবল বই যা বস্তুনিষ্ঠ একাডেমিক বিশ্লেষণ নিয়ে হাজির হয়েছে বিশ্বের দরবারে।
বইটা নিয়ে একজন প্রফেসরের মন্তব্য:
“The Jamaat Question in Bangladesh is a marvellous compendium, a sparkling collection of gems from the established authors of political Islam in Bangladesh. Destined to become a masterpiece in the field, the volume, for the first time, delves deep into the local politics in Bangladesh with global relevance. Empirically rich and theoretically sophisticated, this dazzling collection of essays will mark a new era of reconciliation between Islamic and secular politics in Bangladesh and beyond.”
“বাংলাদেশে জামাত প্রশ্ন একটি বিস্ময়কর সংকলন এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইসলামের প্রতিষ্ঠিত লেখকদের রত্নগুলির মধ্যে একটি ঝলমলে সংগ্রহ। এটি নি:সন্দেহে একটি মাস্টারপিস হতে বাধ্য। বইটি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের স্থানীয় রাজনীতির খুব গভীরে প্রবেশ করেছে বৈশ্বিক প্রাসঙ্গিকতার সাথে সংশ্লিষ্ট রেখে। অভিজ্ঞতাগতভাবে সমৃদ্ধ এবং তাত্ত্বিকভাবে পরিশীলিত, প্রবন্ধের এই চমকপ্রদ সংকলনটি বাংলাদেশে এবং এর বাইরেও ইসলামী ও ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির মধ্যে পুনর্মিলনের একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।”
একটা সফল গণ-অভ্যুত্থান বা বিপ্লবের জন্য লড়াই করতে হয় অনেক অনেক ফ্রন্ট থেকে। সবার অবদানই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার এই ক্ষুদ্র একাডেমিক লড়াই কতোটুকু কাজে এসেছে বা আদৌ কোন কাজে এসেছে কিনা সে ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে। তবে আমার নিয়্যাত বা উদ্দেশ্য ছিলো পরিষ্কার: একটি বৈষম্যমুক্ত, সুখী, সমৃদ্ধশালী, সামাজিক সম্প্রীতি এবং সুবিচারের নতুন বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। দুনিয়াবি কোন চাওয়া-পাওয়ার প্রতি আমার কিঞ্চিৎ ভ্রুক্ষেপ ছিলো না, এখনো নেই। এই নগণ্য বান্দার নগণ্য প্রচেষ্টাগুলো যেন আল্লাহ কবুল করেন, সেটাই আমার এই একাডেমিক লড়াইয়ের মূল উদ্দেশ্য। আর এরসাথে আমার প্রাণান্ত প্রত্যাশা থাকবে: ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের এই গণ-অভ্যুত্থানকে সত্যকার বিপ্লবে রূপান্তর করার জন্য হাজারো তরুণ একাডেমিক লড়াইয়ে শরিক হবে, ইনশাআল্লাহ।
লেখক: এসোসিয়েট প্রফেসর, নানইয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটি, সিঙ্গাপুর