বিপুল অংকের অর্থ পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সিআইডি কর্তৃক দায়েরকৃত ১৭টি মামলার ভিত্তিতে, তারা প্রায় ১০০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সিআইডি’র তদন্তে উঠে এসেছে, বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে জনতা ব্যাংক থেকে ৯৩টি এলসি নেয়ার মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি করে, কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরও সেই রপ্তানির অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়নি। এই অর্থের বড় একটি অংশ সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, বেশিরভাগ পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকদের পুত্রদের প্রতিষ্ঠানে। এর মধ্যে সালমান এফ রহমানের পুত্রের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান RR Global Trading (FZE) এর নামও রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানির নামে অর্থ পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে।
তদন্তে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, এই রপ্তানি কার্যক্রমের আড়ালে বিদেশে অর্থ পাচার এবং অর্থনৈতিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত অপরাধী চক্রের যোগসাজশ রয়েছে। সালমান এফ রহমান ও অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এছাড়া, বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ৩৩,৪৭০ কোটি টাকার ঋণ গ্রহণ এবং অন্যান্য আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও পৃথকভাবে তদন্তাধীন রয়েছে।