তৌহিদ হোসেন সরকার।।
ডুম্বুর ড্যাম ছেড়ে দিয়ে কৃত্রিম বন্যার স্বীকার বৃহত্তর কুমিল্লার জনপদ, সাথে যোগ হয়েছে মৌসুমি বৃষ্টি এতে করে এক মহা বিপদ মোকাবেলা করতে যাচ্ছে এ জনপদের মানুষেরা
উৎপত্তি ও প্রবাহগোমতী নদী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর-পূর্ব পার্বত্য অঞ্চলের (ডুম্বুর) ডুমুর নামক স্থানে উৎপন্ন হয়ে পার্বত্যভূমির মধ্য দিয়ে সর্পিল পথ প্রায় ১৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি, টিক্কারচর, কাপ্তান বাজারের কাছদিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে মেঘনা নদীতে মিলিত হয়েছে
১৯৭৪ সালের পর ১৯৯৩ সালে এবং ২০২৪ ইং আগষ্টে
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেয়া হয়েছে। উজানের পানি ত্রিপুরার বিভিন্ন জনপদ ভাসিয়ে হু হু করে ঢুকছে বাংলাদেশে। ভারী বর্ষণের সঙ্গে উজান থেকে বানের পানি ঢুকতে থাকায় ফেনী ও, কুমিল্লা জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে।
ত্রিপুরাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বোরক টাইমস ও ত্রিপুরা টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার প্রায় ৩১ বছর পর ত্রিপুরা কর্তৃপক্ষ ডুম্বুর জলাধারের বাঁধের সুইস গেট খুলে দিয়েছে। ১৯৭৪ সালে বাঁধ তৈরির পর সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে এই বাঁধের স্লুইস গেট খোলা হয়েছিলো।
সমতটের পুরো জনপথ আজ বন্যায় বাসছে
কি পেল ত্রিপুরাবাসি? এমন প্রশ্নের জবাব মিলছেইবা কতটুকু?
এই রাইমা উপত্যকার উর্বর জমিতে ১২ হাজার আদিবাসী পরিবার বাস করতো। এখানেই মিলিত হয়েছে রাইমা-সাইমা (সারমা) নদী। আর এই উপত্যকা তৈরি করেছিল গোমতি নদী।
১৯৭৪ সালে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেস রাইমা উপত্যকার আদিবাসীদের সম্পর্কে বাস্তবতা এবং ফলাফলের কোনো হিসাব না করেই উর্বর জমিতে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। বাঁধের কারণে ২৭ হাজার আদিবাসী টিপরাস তাদের ঘরবাড়ি হারায়। তাদের সব জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়।
জানাযায় যে
ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি ১৯৭৬ সালে চালু করা হয়েছিল। এর দুটি ইউনিটের ১০ মেগাওয়াট উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে। ১৯৮৪ সালে স্ট্যান্ডবাই হিসাবে পাঁচ মেগাওয়াটের একটি তৃতীয় ইউনিট নির্মাণ করা হয়েছিল।
জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি প্রত্যাশিত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ব্যর্থ হয়েছে। গত পাঁচ বছরে, প্রকল্পটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কারণ হ্রদের ভারী পলির কারণে আশেপাশের দুটি পাহাড়ি শ্রেণি থেকে ব্যাপক মাটি ক্ষয়ের কারণে প্রচুর পরিমাণে বন উজাড় হয়েছে। প্রকল্পে ১৫ মেগাওয়াট উৎপাদন করার কথা ছিল। বাস্তবে এটি ২ থেকে ৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। প্রতি বছর দীর্ঘ শুষ্ক মৌসুমে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। কারণ হ্রদের পানির স্তর কমে যায় এবং টারবাইনগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত পানি পায় না।
প্রকল্পের অযৌক্তিকতা বিবেচনা করে রাজ্য সরকার শেষ পর্যন্ত ২০১২ সালে এটি পরিত্যাগ করার এবং ডম্বুর হ্রদের ৪৪টি দ্বীপের পাশাপাশি আদিবাসী গ্রামের কাছাকাছি জমিগুলোকে পর্যটন স্পটে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়।
সূত্র: টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া
একটি অলাভজনক ডেম ভারত এতদিন কেন রক্ষণাবেক্ষণ করে রাখল, এটিকি হ্রদ নাকি প্রতিবেশিকে শায়েস্তা করতে অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করছে,নাতো?
অবৈধ ভাবে আন্তর্জাতিক নীতি অমান্য করে বাঁধ নির্মান করে কি বোঝাতে চাচ্ছে ভারত? এমন প্রশ্ন সাধারন মানুষের।