দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে, ক্ষমতাসীন জোট বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী এবং এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের সঙ্গে এদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ১৪ দলের নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি সমর্থন করেছেন এবং দু-এক দিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
গণভবনের গেটে রাতের প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ১৪ দলের বৈঠকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং সরকার এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।
বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা কোটা আন্দোলনে জামায়াত-শিবির এবং বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির বিরুদ্ধে জোরালো বক্তব্য দেন। জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তোলেন এবং কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. অসীত বরণ রায় এই প্রস্তাব সমর্থন করেন। বৈঠকে উপস্থিত ১৪ দলের সব নেতাই হাত তুলে এর সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
এর আগে তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ২০০৯ সালে হাইকোর্টে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রিট এবং ২০১৩ সালে ও ২০২৩ সালে উচ্চ আদালতের রায়ের কথা তুলে ধরেন।
১৪ দলের ঐকমত্যের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বলেন, তিনিও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে আছেন। উচ্চ আদালত থেকে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের রায়ের পরই এই অপশক্তির রাজনীতি নিষিদ্ধের সুযোগ ছিল বলে তিনি আক্ষেপ করেন।