সমতট ডেস্ক : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য নির্মিত একটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র দখলমুক্ত করেছে যৌথ বাহিনী। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এই অভিযান চালানো হয়। এই ঘটনায় কাঁশারা কমিউনিটি ক্লিনিক দখলের অভিযোগে শারমিন আক্তার শাহানাজ নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, সিবিএইচসি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের কাঁশারা কমিউনিটি ক্লিনিকটি স্থানীয় নোয়াব আলী ভূঁইয়া, মনোয়ারা এবং মনির উদ্দিনের দান করা জমির ওপর নির্মিত হয়েছিল। ২০২১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধনের পর থেকে এটি নিয়মিতভাবে এলাকার মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিল।
সম্প্রতি স্থানীয় আব্দুর রহিম ও শারমিন আক্তার শাহানাজ দম্পতি এই হাসপাতালের জায়গা নিজেদের দাবি করে আসছিলেন। তাদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তারা বিভিন্ন সময়ে ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত করেন এবং কয়েক দিন আগে আদালতে একটি মামলাও দায়ের করেন।
গত ১৪ জুন এই দম্পতি লোকজন নিয়ে ক্লিনিকে এসে চিকিৎসককে মারধর করে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করে দেন। এমনকি, তারা ক্লিনিকের সামনে বেড়া নির্মাণ করেন, যাতে কেউ ক্লিনিকে প্রবেশ করতে না পারে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়ার নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী কাঁশারা কমিউনিটি ক্লিনিকটি দখলমুক্ত করে এবং পুনরায় স্বাস্থ্যসেবা চালু করে। এসময় অভিযুক্ত শারমিন আক্তার শাহানাজকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল জানান, “১৪ জুন হঠাৎ করেই আব্দুর রহিম ও শারমিন আক্তার শাহানাজ দম্পতি ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেন। আমরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে মঙ্গলবার প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্লিনিকটি দখলমুক্ত করে স্বাস্থ্যসেবা পুনরায় চালু করেছি। এই ঘটনায় গত রবিবার (২২ জুন) থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া বলেন, “গ্রামাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার আমি যৌথ বাহিনীর সহায়তায় কাঁশারা ক্লিনিকটি দখলমুক্ত করেছি। সরকারি কাজে বাধাদানকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।”