সমতট ডেস্ক : ইরানের স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শনিবার (১৪ জুন) রাতে বিপর্যস্ত হয়েছে ইসরায়েল। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই এই হামলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন, যাদের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
রাতে হাইফা, তেল আবিব, বাত ইয়াম, জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ শহরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।
ইসরায়েলের ওয়াইনেট নিউজ আউটলেট জানিয়েছে, বাত ইয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৯ বছর বয়সী এক মেয়ে নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এই শহরে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চারজনে, যাদের মধ্যে ৬৯ ও ৮০ বছর বয়সী দুজন বয়স্ক নারীও রয়েছেন। ইসরায়েলি জরুরি পরিষেবা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডমের বরাত দিয়ে ইয়নেট আরও জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণে আরেকটি শহর রেহোভটে পৃথক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৩৭ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, ইসরায়েলের বাত ইয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়নেট। হোম ফ্রন্ট কমান্ডের অনুমান, তেল আবিবের ঠিক দক্ষিণে বাত ইয়ামে হামলার স্থানে ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে, আজ রবিবার (১৫ জুন) ভোরেও জর্ডান সীমান্তের কাছে অবস্থিত উত্তর ইসরায়েলের বেইত শে’আন এবং আশেপাশের বেশ কয়েকটি শহরে শত্রু ড্রোন অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। এসব এলাকায় সাইরেন বাজছে এবং মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে ছোটাছুটি শুরু করেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। আইডিএফ বলেছে, ড্রোন প্রবেশের খবর তারা পেয়েছে এবং সেসব প্রতিহত করতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে।
এই হামলার ঘটনা ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।