তৌহিদ হোসেন সরকার
কুমিল্লা
ধর্মসাগরের পশ্চিম পাড়ে ঝাউতলার হোল্ডিং নং-৩৬৪-০২ ঠিকানায় অবস্থিত কুমিল্লা মহানগরীর অন্যতম স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ‘সুর্যের হাসি ক্লিনিক’-এর কুমিল্লা শাখায় সম্প্রতি এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লিনিকের সার্বিক সেবা, বিশেষ করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আচরণ ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন অংশগ্রহণকারী বিশিষ্টজনেরা।
প্রায় তিন দশক ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিরাপদ প্রসব, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও সাধারণ চিকিৎসাসেবায় কাজ করে যাচ্ছে অলাভজনক সংস্থা সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক। কুমিল্লা শাখাও তারই একটি গর্বিত অংশ।
এখানে গর্ভবতী মায়েদের জন্য সেবা, অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা, শিশু স্বাস্থ্য, ইপিআই টিকা, আধুনিক ল্যাব টেস্ট, মানসম্মত ওষুধ এবং নিয়মিত ফ্রি হেলথ ক্যাম্পের মতো সেবা প্রদান করা হয়।
সুদীর্ঘ এই পথ চলায় দাতা নির্ভর এই প্রতিষ্ঠান একাধিকবার আর্থিক সংকটে পড়েও দক্ষ, সৎ ও নিবেদিত কেন্দ্রীয় টিমের প্রচেষ্টায় টিকে থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। অনেকগুলো ক্লিনিক ইতোমধ্যে স্বাবলম্বী হয়েছে, যা এক সময় কল্পনাতীত ছিল। তবে কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ের ষড়যন্ত্র ও অসহযোগিতার কারণে সেবা বিঘ্নিত হয়েছে বলেও আলোচনায় উঠে আসে।
সূর্যের হাসি নেটওয়ার্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও জনাব শায়লা পারভীন এক বার্তায় জানান,
“এই ক্লিনিকটি কেবল একটি চিকিৎসাকেন্দ্র নয়—এটি একটি মানবসেবার প্রতীক। আমাদের প্রচেষ্টা হচ্ছে এই সেবাকে টেকসই করা এবং ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করে সাধারণ মানুষের জন্য আরও প্রসারিত করা।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন –
মহাব্যবস্থাপক, পরিচালনা – কর্নেল মোহাম্মদ ইফতেখারুল হক (অব.)
মহাব্যবস্থাপক, ক্লিনিকাল সার্ভিসেস – ডা. নকুল কুমার বিশ্বাস,
উপ মহাব্যবস্থাপক, সমন্বয় – অমল কুমার বিশ্বাস,
ব্যবস্থাপক, মানবসম্পদ – রোমান আলী ঠাকুর
উপ-ব্যবস্থাপক, ক্লিনিকাল সার্ভিসেস – ডা. মো. আমিরুল ইসলাম কুদরত উল্লাহ
জুনিয়র অফিসার, সমন্বয় – অমিত বড়ুয়া,মো: বাছির আহাম্মদ
ক্লিনিক ব্যবস্থাপক, সূর্যের হাসি ক্লিনিক, কুমিল্লা
আরও উপস্থিত ছিলেন সমতট টিভির সম্পাদক বেলাল হোসেন রাজু, ডেইলি প্রেজেন্ট টাইমসের জেলা প্রতিনিধি তৌহিদ হোসেন সরকার, এমদাদ হোসেন,বিএম মারেক রিপন প্রমুখ।
সরেজমিনে দেখা যায়
“হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা শুধু পেশাগত দায়িত্ব পালন করেই থেমে থাকেন না, তারা রোগীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করেন—যা আমাদের অভিজ্ঞতায় বিরল।” তাঁরা আরও বলেন, ক্লিনিকের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, ঝকঝকে পরিবেশ এবং সব শ্রেণির মানুষের জন্য সহজলভ্য চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা সত্যিই প্রশংসনীয়।
সুর্যের হাসি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের লক্ষ্য হলো—সবার জন্য মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, যেন রোগীরা শুধু চিকিৎসা নয়, একটি সহানুভূতিশীল পরিবেশও পান।
ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, “আমরা চাই, আমাদের রোগীরা এখানে শুধু সেবাই না, সম্মানও পান। পরিচ্ছন্নতা, সময়মতো চিকিৎসা, আর স্টাফদের আচরণ—এই তিনটি বিষয় আমরা অগ্রাধিকার দিই।”
হাসপাতালে অত্যাধুনিক রুম, উন্নতমানের বেড এবং তুলনামূলকভাবে নগরীর সবচেয়ে সাশ্রয়ী খরচে চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ক্লিনিকটি ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছে।
এমন উদ্যোগ এবং দৃষ্টান্ত গড়ে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও অনুপ্রাণিত হবে বলে মত দিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।