নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সমতট ডেস্ক: উচ্চ মাধ্যমিক শাখার মানবিকের বসন্তের স্বাদ, ব্যবসায় শিক্ষার নবান্ন পিঠাঘর, বিজ্ঞানের গ্যালিলিও পড়ন্ত পিঠাঘর, বাংলার রসকলি পিঠালয়, ব্যবস্থাপনার পিঠাপুলির ঝুঁড়ি, সমাজকর্মের পিঠা যাবে পেটুক বাড়ি, ইংরেজির মাটির টানে পিঠার ঘ্রাণে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মনোহরা পিঠাঘর, অর্থনীতির ঐতিহ্যের পিঠাপুলি, হিসাববিজ্ঞান হিসাবের পিঠা ও পুঁই মাচা ও পিঠাঘর নামে স্টল নিয়ে বসছে ডিগ্রি শাখঅ। বাহারী নামের ব্যতিক্রমী এসব স্টল নিয়ে পিঠা উৎসবে মেতেছে কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষর্থীরা। একদিকে পিঠা খাওয়ার ধুম ও অন্যদিকে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ যেন নতুনের উচ্ছ্বাস।
তারুণ্যের শক্তি আবেগ এবং উদ্যোগী চেতনায় সমৃদ্ধ এই নতুন বাংলাদেশ প্রস্তুত পরিবর্তনের পথে এগিয়ে যেতে। এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) উচ্চমাধ্যমিক শাখার মুক্তমঞ্চ ও খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয় বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব-২০২৫। বেলা ১১টায় ফিতা কেটে আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম। শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মো. আবু জাহেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মোস্তাক আহমেদ ও অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সহকারী অধ্যাপক দিল আরা আফরোজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বগণ।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন- পিঠা উৎসব আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্টিশীলতার স্পৃহা বাড়বে। প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবারের উৎসবও অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ হয়েছে। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান।
পিঠা উৎসব উপলক্ষে পুরো অনুষ্ঠানস্থলকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। মোট ১১টি বাহারী পিঠার স্টল নিয়ে বসেন শিক্ষর্থীরা। নিজেদের হাতে তৈরি এসব পিঠার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গাজর মালাই, সেমাই লাড়ু, ঝাল মালপোয়া, দুধ চিতই, সুজি রসভরি, দুধ পলি, কুমড়া সুন্দরী পিঠা, রসের জিলাপী, মিটবল, কমলা সুন্দরী, সুজির বরফি, জামাই পিঠা, রাশিয়ান পিঠা, সতীনমোচর, গোলাপ পিঠা, বউ পিঠা, নারকেল পুলি, রসমালাই ও রসগোল্লা।
মেলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো। পিঠা উৎসবে বিভাগ ভিত্তিক প্রথম অর্থনীতি, দ্বিতীয় ব্যবস্থাপনা ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে সমাজকর্ম বিভাগ ও অন্যান্যদের সান্তনা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।