সমতট ডেস্ক।।ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পদবঞ্চিত ছাত্রনেতারা বুধবার কলেজের সামনের সড়কে দিনভর টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিক্ষোভ করেছে। এতে এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত কলেজের প্রধান ফটকে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বঞ্চিত ছাত্রদল নেতারা।
দুপুরে মিরপুর সড়ক অবরোধ করে পদবঞ্চিতরা ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঢাকা কলেজের প্রধান ফটক, মিরপুর রোডের একাধিক স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভের পরে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে দুটি, নায়েমের গলি ও মিরপুর রোডে চারটি এবং ঢাকা কলেজের সামনে অবস্থিত ফিলিং স্টেশনের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্কিত ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষোভের বিষয়ে কলেজ ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী তারেক জামিল বলেন, ত্যাগী বঞ্চিতদের ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হয়নি। ৫ আগস্টের পরের সুবিধাভোগীরাই স্থান পেয়েছে। আমাদের এই বিক্ষোভ কেন্দ্রকে বিষয়টা জানান দিতে।
তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়, তাদের ধাওয়া দিয়েও ধরতে পারিনি।
এবিষয়ে নব-মনোনীত কমিটির আহ্বায়ক পিয়াল হাসান বলেন, দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে দলের ত্যাগী নেতাদের পদায়ন করা হবে। আমরা মীমাংসার চেষ্টা করছি।
সার্বিক বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির বলেন, সাংগঠনিক কাঠামোর কারণে আমরা সবাইকে প্রত্যাশিত পদে দিতে পারছি না। পদবঞ্চিত হলে, সাংগঠনিক কাঠামো আছে কিন্তু দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, নতুন কমিটি ৪৫ দিনের জন্য সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আকার দ্রুত বাড়ানো হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিকেলে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে পিয়াল হাসানকে আহ্বায়ক এবং মো. মিল্লাদ হোসেনকে সদস্য সচিব করা হয়। এরপরই বিক্ষোভ শুরু হয়।