ঝিনাইদহের শৈলকুপায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকালে উপজেলার নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের বাগুটিয়া গ্রামে দুই পক্ষ হাসুয়া-বল্লম-রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারা বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু এবং পরাজিত প্রার্থী শামীম হোসেন মোল্যার সমর্থক বলে জানা গেছে। শামীম হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিত্যানন্দপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মফিজ বিশ্বাসের সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক বিশ্বাসের বিরোধ দীর্ঘদিনের। ২১ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোস্তফা আরিফ রেজার পক্ষ অবস্থান নেন ফারুকের সমর্থক আব্দুর রশিদ। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম হোসেনের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন মফিজ বিশ্বাসের কর্মী কোবাদ বিশ্বাস। নির্বাচনে মোস্তফা আরিফ রেজা (মোটরসাইকেল) ৭৩ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম হোসেন (দোয়াত-কলম) পান ৭১ হাজার ৮৮০ ভোট।
নির্বাচনের পর বাগুটিয়া গ্রামে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জের ধরে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কোবাদ বিশ্বাস ও আব্দুর রশিদের পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ এসেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে সংঘর্ষ থামায়। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে খয়বর বিশ্বাস, বাবুল বিশ্বাস, মতিয়ার রহমান, রাজন হোসেন, মিটুল হোসেন, রজব আলী, আজিজুল ইসলামের নাম জানা গেছে। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক বিশ্বাসের অভিযোগ, উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে সমর্থকদের দিয়ে বাগুটিয়া গ্রামে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন ইউপি চেয়ারম্যান মফিজ বিশ্বাস। এর জেরেই সংঘর্ষ হয়েছে।
তবে চেয়ারম্যান মফিজ বিশ্বাস পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের পর থেকে ফারুক বিশ্বাসের সমর্থকরা বাগুটিয়া গ্রামের তাঁর সমর্থকদের ওপর প্রতিনিয়ত হামলা করছে। তারা বসে বসে মার খেতে পারেন না, তাই প্রতিরোধ করেছেন।
শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ বাগুটিয়া গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।