মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার একটি বাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের লাইনের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানসহ এক পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে মোখলেছ মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- স্বামী ফয়জুর রহমান (৫২), স্ত্রী শিরিন বেগম (৪৫), মেয়ে সামিয়া (১৬), সাবিনা (১৩) ও ছেলে সায়েম মিয়া (৮)। এদের মধ্যে মেয়ে সামিয়া নবম শ্রেণি ও সাবিনা সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় আহত সোনিয়া আক্তারকে (১২) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জুড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইনুদ্দিন। তিনি জানান, মরদেহগুলো জুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার প্রস্তুতি চলছে।
সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে ফয়জুর রহমানের বাড়ির উঠানে পাঁচজনের লাশ রাখা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজনরা ছুটে এসেছেন। লাশের পাশে বসে তারা কান্নাকাটি করছেন। ঘরের ভেতর বিদ্যুতের তার, মিটার পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খাটের লেপ-তোশকও পুড়ে গেছে।
দেখা গেছে, পূর্ব গোয়ালবাড়ি সড়কের এক পাশে টিনের চালা ও বেড়ার তৈরি ঘরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকতেন ফয়জুর রহমান। তার ঘরের উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন টানানো।
নিজের জমি না থাকায় রহমত আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির পতিত জমিতে ফয়জুর রহমান ঘর তৈরি করে বসবাস করছিলেন বলেও জানা গেছে।