সমতট ডেস্ক: পালিয়ে গিয়ে ভারতে অবস্থান নেওয়া আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের চার নেতাকে ‘ধর্ষণের অভিযোগে’ গ্রেপ্তারের খবর এসেছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
জি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর রোববার দুপুরে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে কলকাতা পুলিশের সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করে শিলং পুলিশ।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন– সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিলেট মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ইলিয়াস আহমদ জুয়েল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকেউ পালিয়ে ভারতে চলে যান। তাদের কেউ কেউ শিলংয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেন।
“সেখানে গা ঢাকা দেওয়ার সময় একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় নির্যাতিতা মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও আরও দুজন পলাতক,” লিখেছে জি নিউজ।
পলাতক দুজন হলেন– সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসার আজিজ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিঠু।
কলকাতায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলও তার দলের চারজনের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “চারজনকে শিলংয়ের ডাউকি থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
তবে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, “তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ছিনতাই ও ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। স্থানীয় আদালতে সেখানকার আইনজীবীদের মাধ্যমে তাদেরকে আইনি সহযোগিতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করি, তারা সুবিচার পাবেন।”
কলকাতায় অবস্থান করা সিলেট জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা বলেছেন, রোববার বারাসাত আদালতে হাজির করা হলে বিচারক চারজনকে মেঘালয় রাজ্যের আদালতে হাজির করার আদেশ দেন।
জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, নাসির উদ্দিন খানসহ ওই ছয়জন দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর শিলং বাজার থেকে খানিকটা দূরে একটি ফ্ল্যাটে ওঠেন। শিলংয়ে শীতের প্রকোপ বাড়ায় গত ১ ডিসেম্বর তারা কলকাতা চলে যান।
কলকাতায় অবস্থানরত আওয়ামী লীগের এক নেতার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, শিলং ছেড়ে কলকাতায় যাওয়ার সময় তারা স্থানীয় থানায় অবগত করেননি। পরে ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে পুলিশ খোঁজ নিলে ফ্ল্যাট কর্তৃপক্ষ তাদের থানায় যোগাযোগ করতে বলে। কিন্তু কলকাতা থেকে শিলংয়ের দূরত্ব বেশি হওয়ায় তারা তা করেননি।