ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ ছাত্রলীগের সঙ্গে তার জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন যে, তার ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ছিল না এবং তিনি কখনো ছাত্রলীগের কোনো পদে মনোনয়ন পেতে সিভি জমা দেননি।
ফরহাদ বলেন, “আমার ছাত্রলীগের সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি বিভাগীয় ছাত্রলীগের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিনি, এবং আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হচ্ছে। এই ধরনের অভিযোগ আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের মনোবল নষ্ট করার জন্য একটি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করি।”
ফরহাদ আরও জানান, তিনি ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ও বিভাগের ডিবেটিং ক্লাবের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতার সময় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে তার ছবি দেখা গেলেও, তা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ছিল না।
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতির পর প্রকাশ্যে আসে ছাত্রশিবির। ঢাবি শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং এরপর গণমাধ্যমের সামনে আসেন। সাদিক কায়েম জানান, “দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ধরে আমাদের গোপনে রাজনীতি করতে বাধ্য করা হয়েছে। এখন আমরা শিগগিরই আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করবো।”
সাদিক কায়েমের পরিচয় প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সূত্রপাত হয়। এরপর শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেলের পরিচয়ও প্রকাশ পায়। এস এম ফরহাদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র, জানান, তিনি নিজে থেকে কোনো রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করেননি, তবে শিবিরের পক্ষ থেকে ঢাবিতে তাদের কমিটি শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটিতে ২১টি পদ রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, শিক্ষা সম্পাদক, আইটি সম্পাদক, বিতর্ক সম্পাদক এবং অন্যান্য পদ। তবে এখানে সহসভাপতি বা সহসম্পাদক নামে কোনো পদবি নেই।