মাইগ্রেনের প্রধান উপসর্গ হলো তীব্র মাথাব্যথা, যা সহ্য করা অনেক সময় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ব্যথার এই যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণে সাধারণত ওষুধের সাহায্য নেওয়া হয়, তবে অনেক সময় ওষুধও যথেষ্ট কার্যকরী হয় না। তাই ওষুধের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে।
মাইগ্রেনের সমস্যায় অনেকের মাথার একপাশে ব্যথা হয়, আবার কারো পুরো মাথায় ব্যথা অনুভূত হয়। পুরো মাথা ব্যথার সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হয়।
মাইগ্রেনের কারণ সম্পর্কে গবেষণা চলছে, তবে এখনো এর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে কিছু গন্ধ, খাবার, আলো কিংবা মানসিক চাপ মাইগ্রেনের কারণ হিসেবে কাজ করে। এসব কারণে শুরু হয় অসহ্য যন্ত্রণা।
মাইগ্রেনের সমস্যার কারণ হিসেবে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো সূর্যের তীব্র তাপ, দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা মোবাইলের সামনে থাকা, কম ঘুম, মানসিক চাপ, চোখের ক্লান্তি, সাইনাস প্রদাহ কিংবা মস্তিষ্কের রক্তনালির সমস্যা। কখনও কখনও তীব্র মাথাব্যথার সাথে বমি ভাব, চোখে যন্ত্রণা এবং মুখ ও চোয়ালে ব্যথাও দেখা দিতে পারে।
মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে কিছু ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করতে পারেন:
১. বাঁধাকপি: ম্যাগনেশিয়াম, ওমেগা ৩ ও ফাইবার সমৃদ্ধ বাঁধাকপি মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সহায়ক। বাঁধাকপির স্যুপ, স্মুথি বা সালাদ খান। গাজর ও মিষ্টি আলুও উপকারী; এসব খাবারে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, বি২, বি৬, নিয়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাস থাকে যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
২. চেরি: চেরির জুস মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে কার্যকর। চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনলস নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা স্ট্রেস কমায় ও মাথাব্যথা দূর করে।
৩. মাশরুম: মাশরুমে ম্যাগনেশিয়াম ও রিবোফ্লোবিন থাকায় মাইগ্রেন কমে।
৪. পরিহার করুন: মাইগ্রেনের সময় চকলেট, অ্যালকোহল, ডিম, দুধ বা দুগ্ধজাত দ্রব্য, পেঁয়াজ, টমেটো, ময়দার রুটি পরিহার করুন।
এই ঘরোয়া উপায়গুলি মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে, তবে সমস্যা গুরুতর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।