সমতট ডেস্ক: কুমিল্লায় শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার উৎসব। ধান কর্তন ও ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লার কৃষকরা। সোনালি ধানে হাসি ফুটিয়েছে তাদের মুখে। তবে এ বছর গোমতী ও সালদানদী ভাঙা পড়ে ব্রাহ্মণপাড়া,বুড়িচং, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার উপজেলায় বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে কৃষক সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। এ পর ও প্রতিকূলতার মাঝে গুরে দাড়িয়েছে কুমিল্লার কৃষকরা।
কৃষিসংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে। এর ফলে একই জমিতে তিনটি ফসল আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হবে কৃষকরা।
এর মধ্যেও কুমিল্লার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় জমিতে এখন শোভা পাচ্ছে আগাম জাতের বোরো ধান। সোনালি ধানের ঘ্রাণে ভরে আছে মাঠ।
বন্যার পরবর্তী সময়ে কুমিল্লায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সেসব জমিতে এখন বোরো ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তবে বন্যা বিভিন্ন উপজেলায় পতিত জমিগুলোতে পলি পড়ায় জমিগুলো উর্বর হয়ে ওঠে। ফলে এ বছর বোরো ধানের ভাল ফলন হয়েছে। কুমিল্লার বাজারে ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা।
কুমিল্লায় চলতি বোরো মৌসুমে ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করার নির্ধারন হয়েছে। এবং অর্জিত হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি।
দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের সুবিল এলকার কৃষক আলী হোসেন জানান, বোরো ধান চাষে সময় কম লাগে। এবছর বন্যা হওয়ায় জমি উর্বর ছিল এবং পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় বালাইনাশক স্প্রে করতে হয় না। ফলে ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমরা ধান ঠিকঠাক মত ঘরে তুলতে পারবো।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই ইউনিয়নের পোমপাড়া গ্রামের আরেক কৃষক ফারুক মিয়া জানান, এ বছর বন্যার কারনে বোরো ধান লাগাতে সেচের কোন অসুবিধা হয়নি বন্যা ও বৃষ্টি হওয়ায় ধান রোপন করতে সুবিধা হয়েছে, এবং অন্যান বছর থেকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো চাষে আমাদের লাভ হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক( ডিডি) আইয়ুব মাহমুদ বলেন, এ বছর গোমতী ও সালদানদী ভাঙা পড়ে বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার, নাঙল কোট ও আর্দশ সদরসহ কয়েকটি উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ বেশ ভাল হয়েছে। সর্বোপরি কুমিল্লা এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় এখন পর্যন্ত ০৭ পারসেন্ট বোরো ধান কাটা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে আশা করি অল্প কিছু দিনের মধ্যে তা সম্পুর্ন হবে।