৩ মাস পূর্ণ করলো ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। এ সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার বিচারকাজ, সংবিধানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সংস্কার কমিশন গঠন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারসহ নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। তবে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাসহ কিছু বিষয়ে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে সরকারকে।
অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কতদিন হতে পারে তা এখনো নির্দিষ্ট হয়নি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিনের মাথায় ৮ আগস্ট শপথ নেয় এ সরকার।
দায়িত্ব গ্রহণের পর টালমাটাল অর্থনীতির গতি ফেরানো, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার। রোববার এক প্রতিবেদনে সরকারের নানা পদক্ষেপ ও সাফল্য, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অগ্রগতি তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। এতে তুলে ধরা হয়, ক্রীড়া ও তথ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ৩ মাসের উগ্রগতির তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৩ মাসে সচিব পদে ১২ জন, গ্রেড-১ পদে ৩, অতিরিক্ত সচিব পদে ১৩৫ , যুগ্মসচিব পদে ২২৬ এবং উপসচিব পদে ১২৫ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যুগ্মসচিব পর্যায়ের ৯৬ এবং উপসচিব পর্যায়ে ১৮৯ কর্মকর্তাকে নিয়োগ ও বদলি করা হয়। পুলিশেও হয়েছে ব্যাপক রদবদল।
এতে আরও বলা হয়, নির্বাহী আদেশে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ১০ অক্টোবর দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা, দুর্গাপূজার ছুটি বাড়িয়ে ২ দিন করা হয়েছে। ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি ৫ দিন এবং ঈদ-উল-আযহার ছুটি ৬ দিন করা হয়েছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য ২২ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। গত ৫ আগস্টের পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দাবির মুখোমুখি হতে হয়েছে এ সরকারকে। এতে দেশ গড়ার কাজে অনেকটাই বেগ পেতে হয়েছে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে।