প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ০৯:৪৫ (সম্ভাব্য সময়)
স্টাফ রিপোর্টার, সমতট টিভি:
২০২৬ সালের পবিত্র হজের অফিসিয়াল রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে সৌদি আরব। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৪৪৭ হিজরি মোতাবেক ২০২৬ সালের হজ কার্যক্রমের জন্য এই রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, সৌদি সরকারের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় চলতি বছরের ৮ জুন ২০২৬ সালের হজের এই রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), হজ এজেন্সি এবং হজ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
মূল সময়সীমা ও নির্দেশনা:
- ২৬ জুলাই (চলতি বছর): নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে মিনার তথ্য জানা এবং অর্থ স্থানান্তরের সুবিধা চালু হবে।
- ১২ অক্টোবর (চলতি বছর): হজযাত্রী নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
- ১০ জুলাই (চলতি বছর): নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে ১৫ মহররম ১৪৪৭ হিজরি তারিখে হজকোটা ঘোষণা করা হবে।
- ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৬: হজযাত্রীদের ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হবে।
- ১৮ এপ্রিল ২০২৬: হজের উদ্দেশ্যে হজযাত্রীদের সৌদি আরব গমন শুরু হবে।
বিশেষ নির্দেশনা:
- ২০২৬ সালে হজযাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ ২টি সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা যাবে।
- হজের সব চুক্তি এবং সেবা সংক্রান্ত পেমেন্ট নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে সম্পন্ন করতে হবে। প্ল্যাটফর্মের বাইরে কোনো পেমেন্ট কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং তা আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ বলে গণ্য হবে।
- মেডিকেল ফিটনেস ব্যতীত কোনো হজযাত্রী হজে গমন করতে পারবেন না। হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার সিরোসিস, কিডনি রোগে আক্রান্ত, নিউরোলজিক্যাল, মানসিক রোগ, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা, সংক্রামক যক্ষ্মা এবং কেমোথেরাপী গ্রহণকারী ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী হজের নিবন্ধন করতে পারবেন না।
- হজযাত্রীদের কোরবানির অর্থ নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে আবশ্যিকভাবে জমা প্রদান করতে হবে।
- হজযাত্রীদের খাবারের জন্য সৌদি ক্যাটারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির পাশাপাশি হজযাত্রী ব্যবস্থাপনার কাজে হজে গমনকারীদের তাঁবু, সার্ভিস প্যাকেজ এবং পরিবহন সেবামূল্য প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর বিশ্বের ১৭১টি দেশের ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৩০ জন পবিত্র হজ পালন করেছেন। এর মধ্যে বিদেশি হাজির সংখ্যা ১৫ লাখ ৬ হাজার ৫৭৬ জন এবং সৌদি আরবের হাজি ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৫৪ জন। বাংলাদেশি হাজির সংখ্যা ছিল ৮৭ হাজার ১৫৭ জন।
সৌদি আরব ২০২৫ সালের হজের আগে ভিসা ব্যবস্থা সহজীকরণ, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবক পরিষেবা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, রসদ সরবরাহ এবং হজযাত্রীদের সহায়তাসহ বৃহৎ পরিসরে সহায়তা ক্ষেত্রগুলো বিস্তৃত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও আগেভাগেই হজের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে দেশটি।