এক নজিরবিহীন পদক্ষেপে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবার হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যা আসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে। এই সাহসী কর্মসূচির অংশ হিসেবে কার্জন হলের গেটে সবাইকে জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে এই আহ্বান জানানো হয়, যেখানে সকলে সকাল ১০টার মধ্যে কার্জন হলের গেটে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। বার্তাটি স্পষ্ট: হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, যিনি নানা বিতর্কে জড়িয়ে আছেন এবং ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে, কোনো পূর্ব আলোচনা ছাড়াই ফুল কোর্ট মিটিং আহ্বান করেছেন—যা একটি মরিয়া প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য।
আইনজীবীরা ইতোমধ্যেই প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন এবং পরাজিত শক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আন্দোলনের নেতারা আগেই প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলেন, আর এবার তারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তার ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। তাদের দাবি একদম সোজাসাপ্টা: প্রধান বিচারপতি অবিলম্বে বিনা শর্তে পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন।
প্রসঙ্গত, শনিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের নিয়ে জরুরি ফুল কোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচারপতিরা এই সভাটি করবেন বলে জানা গেছে। বুধবার থেকে দেশের সব আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রোববারের মধ্যে হাইকোর্টসহ সব আদালত খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন আইনজীবীরা। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতির অপসারণের দাবি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। এই উত্তেজনাকর অবস্থায় সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতিদের ফুল কোর্ট সভাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।