বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আশাবাদ প্রকাশ করেছেন যে আগামী ছয় মাসের মধ্যে সরকারি লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) এর দায় সম্পূর্ণভাবে পরিশোধ করা সম্ভব হবে।
মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ব্যাংক খাতের প্রতিনিধিদের সাথে এক বৈঠকে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন। বৈঠকের পরে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সম্প্রতি খোলাবাজারের তথ্য অনুসারে, মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীরা ১২১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২২ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত ডলার কেনাবেচা করছেন।
হুসনে আরা শিখা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করছে, যার মাধ্যমে ইতিমধ্যে ৮০০ মিলিয়ন ডলার দায় শোধ করা হয়েছে। বাকি ১.২ বিলিয়ন ডলার আগামী পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে পরিশোধ করার পরিকল্পনা রয়েছে। গভর্নর মনসুর বিদেশি ব্যাংকগুলোকে আস্থা রাখতে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে এবং কার্ব মার্কেটে ডলারের দামের পার্থক্য এখন ১ শতাংশেরও কম, এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় রিজার্ভের অবস্থা উন্নত হচ্ছে। প্রবাসীদের পাঠানো এই অর্থ বাংলাদেশের রিজার্ভকে সহায়তা করছে, যার ফলে রিজার্ভের ক্ষয় বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ দুই হাজার ৪৩০ কোটি ডলারের আশেপাশে রয়েছে, যদিও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এর পরিমাণ কিছুটা কম, দুই হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি।
হুসনে আরা শিখা আরও জানান, ডলারের বাজার বর্তমানে স্থিতিশীল, ব্যাংকগুলো নিজেরাই ডলার কেনাবেচা করতে পারছে এবং আন্তঃব্যাংক লেনদেন সক্রিয় থাকায় বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন ।