আফতাব চৌধুরী : নিজেকে সুন্দর করে তুলতে মানুষ কত কিছুই না করে। হরেক রকম ক্ষতিকর ক্যামিকালযুক্ত প্রসাধন ব্যবহার করতেও পিছপা হয় না। অথচ প্রকৃতিতেই রয়েছে এমন অনেক উপাদান যা শ্রীবৃদ্ধিতে অতুলনীয় অবদান রাখতে সক্ষম। ডিম এমনই একটি উপাদান।
পুষ্টিকর খাদ্য হিসাবে ডিমের তুলনা নেই। শরীরের উপকারের পাশাপাশি ত্ব্ক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও ডিম যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। ডিমের নানা পুষ্টিগুণ আপনাকে ভিতর থেকে করে তোলে স্বাস্থ্যসমৃদ্ধ, সুন্দর।
শুধু খাবারের মাধ্যমে নয়, বাহ্যিকভাবেও ডিমকে রূপচর্চার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। যেমন- ডিমের সাদা অংশ ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে ত্বককে করে তোলে কোমল ও মসৃণ। একটি ডিমের পুরো সাদা অংশ ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এতে আধা চা চামচ ময়দা ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখ-সহ গলা ও হাতে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক হয়ে উঠবে তেলমুক্ত ও মসৃণ।
স্ক্রাবার হিসেবে : ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে ১ চা চামচ চালের গুঁড়া ও ২ চামচ দানাদার চিনি মেশান। মিশ্রণটি মুখসহ পুরো শরীরে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এতে শরীরে লকিয়ে থাকা ধুলো-ময়লা দূর তো হবেই, সেই সাথে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ
চুলের রুক্ষতা দূর করতে : একটি পুরো ডিম ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এতে ১ টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল ভালো করে মেশান। মিশ্রণটি পুরো চুলে ভালো করে মেখে নিন। ২৫-৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর চুল ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুল হবে কোমল ও ঝলমলে। যাঁদের চুল বেশি তৈলাক্ত তাঁরা অলিভ অয়েলের পরিবর্তে টক দই ব্যবহার করতে পারেন।
লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট।