সমতট ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে রাতের বেলা গায়েবি নোটিশ আসে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম।
তিনি বলেন, একটা গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দিতেই রাতের বেলা গায়েবি নোটিশ দিচ্ছে প্রশাসন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে ডাকসুর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন তিনি।
সাদিক কায়েম বলেন, আমরা আমাদের প্রতিটা সংবাদ সম্মেলন ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় করার চেষ্টা করেছি। রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তাই আমরা এখানে এসে সমস্যাগুলো বুঝার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচিত হলে এখানকার লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমবে। এটিকে পুরো আধুনিকায়ন করা হবে। কাগজে কোন কাজ করা লাগবে না। পুরো অনলাইন নির্ভর করা হবে। পাশাপাশি, শিক্ষার্থীদের এখানে পার্ট টাইম কাজের ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে বলেন, তারা শুরু থেকেই একটা বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। তাদের কথামতো রাত-বিরাতে বিভিন্ন নোটিশ জারি করছে। এভাবে চলতে থাকলে নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
এদিকে, একটা দল যা করে সেটাই নীতিমালা বলে মন্তব্য করেছেন একই প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ।
তিনি বলেন, ডাকসুর কিছু নির্দিষ্ট নীতিমালা ছিল। কিন্তু সেটার কোন তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। এখন একটা দল যা করে সেটাই নীতিমালা হিসেবে বিবেচিত হয়।
শিবিরের পোস্টার খুলে ফেলার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা এসব পোস্টার লাগানোর আগের রাতেও নির্বাচন কমিশনকে জিজ্ঞেস করে নিয়েছি এগুলো লাগানো যাবে কিনা। তাদের সবুজ সংকেত পেয়েই আমরা পোস্টার লাগিয়েছি। কিন্তু এখন হঠাৎ করে এগুলো খুলে ফেলা হচ্ছে। কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, এখন প্রশাসনের কাছে রাতের বেলা গায়েবি ওহী নাজিল হয়। আমরা আশঙ্কা করছি এমনটা চলতে থাকলে ভোটের ফলাফলের সময়ও গায়েবী ওহী নাজিল হবে।