রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে এক বিশাল পরিবর্তন । উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনের ২৯ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পদত্যাগকারীদের তালিকায় রয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হকসহ ১২ জন সহকারী প্রক্টর। এছাড়াও পদত্যাগ করেছেন মীর আব্দুল কাইয়ুম ডরমিটরির ওয়ার্ডেন আতাউর রহমান রাজু, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক শেখ শামসুল আরেফিন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাপাখানার প্রশাসক মোহাম্মাদ শাখাওয়াত হোসেন, লিগ্যাল সেলের প্রশাসক সাদিকুল ইসলাম সাগর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আলমগীর হোসাইন সরকার, ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেলের (আইকিউএসসি) পরিচালক দুলাল চন্দ্র রায়সহ আরও অনেকেই।
উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার জানান, তিনি মহামান্য আচার্য বরাবর বিকেল ৩টার দিকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন তিনি। প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসান জানান, তিনি এখন পর্যন্ত ২৮ জনের পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পদত্যাগের এই ঢেউ আসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেওয়া ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটামের পরেই। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্র সমন্বয়করা উপাচার্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের জন্য সময় বেঁধে দেন। তাদের দাবি ছিল, উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার, সহ–উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম ও হুমায়ুন কবীর, সম্পূর্ণ প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা, জনসংযোগ কর্মকর্তা, সব আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষ, লিগ্যাল সেল, যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ সেল, ডরমিটরি প্রশাসক, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যদের পদত্যাগ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আকস্মিক পরিবর্তন দেশের শিক্ষাঙ্গনে এক বিশাল প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কীভাবে এই পরিবর্তনগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যতে প্রভাব ফেলবে, তা এখন দেখার বিষয়