ভেষজ নানা গুণে ভরপুর রসুন। এ রসুনের পুষ্টিগুণ পেতে অনেকেই রান্নায় বেশি ব্যবহার করে থাকেন রসুন। কিন্তু আপনি কি জানেন, সরাসরি রান্নায় ব্যবহার না করেও রসুনের পুষ্টিগুণ দ্বিগুণভাবে পাওয়া সম্ভব।
পুষ্টিবিদরা বলছেন,
ভাতের সঙ্গে মাত্র দুই কোষ রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন। সকালে, বিকেলে অথবা রাতে যে কোনো সময় খেতে পারেন দুই কোয়া কাঁচা রসুন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন
, রসুনের অনেক গুণ। শরীরের নানা জটিলতা কাটাতে রসুন দারুণ কাজ করে। এ রসুন চোখ ভালো রাখা থেকে শুরু করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কার্যকরী।
খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতকে চীন ও ভারতে রক্ত পাতলা রাখার জন্য রসুন ব্যবহার হতো। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস রসুনকে ব্যবহার করেছিলেন সারভাইকাল ক্যানসারের চিকিৎসায়।
গবেষণা বলছে, নিয়মিত রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে। নানা হৃদরোগ জটিলতা প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে। নিয়মিত রসুন খেলে শরীরে আরও নানা উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন:
১. শরীরের জন্য খারাপ কোলেস্টেরল প্রায় ১০–১৫ শতাংশ কমে যায়।
২. বিপাকীয় ক্রিয়া ও পরিবেশ দূষণের ফলে যে ফ্রি র্যাডিক্যালস তৈরি হয়, রসুনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সেই ক্ষতি খুব ভালোভাবে ঠেকাতে পারে।
৩. অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রাও বেশি থাকে রসুনে। তাই নিয়মিত রসুন খাওয়ার অভ্যাস থাকলে অ্যালঝাইমার ও ডিমেনসিয়ার প্রকোপ কমে।
৪. সংক্রমণজনিত অসুখ-বিসুখ কম হয়।
৫. ইস্ট্রোজেন লেভেল বাড়িয়ে মেয়েদের হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৬. শরীরের জন্য ক্ষতিকর লেড টক্সিসিটি কমায়।
৭। শরীরের এলার্জির সমস্যা দূর করে।
৮। স্থায়ী ব্রণ সমস্যার সমাধান পেতে নিয়মিত রসুন খেতে পারেন।
৯। শারীরিক যে কোনো দুবর্লতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী রসুন।
রসুনের ঝাঁঝালো গন্ধের উপাদান অ্যালিসিন। শরীরে বেশি ঢুকলে বিষক্রিয়া এবং সঠিক পরিমাপে থাকলে ওষুধের মতো কাজ করে। তাই নিয়মিত সবোর্চ্চ ৪ কোয়ার বেশি রসুন খেতে যাবেন না।
SOMOY