মহারাষ্ট্রের ছত্রপতি সম্ভাজিনগর থেকে মুম্বাই অভিমুখে পদযাত্রা করেছে হাজার হাজার মানুষ, যার নেতৃত্বে ছিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন দলের সাবেক সংসদ সদস্য ইমতিয়াজ জলিল। মূলত বিজেপি বিধায়ক নিতেশ রানে এবং ধর্মগুরু রামগিরি মহারাজের ইসলামবিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদেই এই বিশাল পদযাত্রা আয়োজন করা হয়। তাদের লক্ষ্য ছিল ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ দাবি করা।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রায় শতাধিক যানবাহনে করে বিক্ষোভকারীরা ছত্রপতি সম্ভাজিনগর থেকে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এ পদযাত্রার মূল লক্ষ্য ছিল মুম্বাই শহরে পৌঁছে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো যে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া বক্তব্যের জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
পদযাত্রা ‘তিরিঙ্গা সংবিধান র্যালি’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এতে যোগ দেয়। তবে পদযাত্রাটি মুম্বাই প্রবেশের আগেই মুলুন্ড টোল প্লাজায় পৌঁছায়। সেখানে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির বিরুদ্ধে নিতেশ রানে এবং রামগিরি মহারাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানায় বিক্ষোভকারীরা। পরে তারা পুলিশি বাধার মুখে সেখান থেকেই ফিরে যায়।
র্যালিতে অংশগ্রহণের কারণে সমৃদ্ধি সুপার এক্সপ্রেসওয়েতে প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রথমবারের মতো এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় এত বড় ধরনের যানবাহনের জট সৃষ্টি হয়। প্রায় দুই হাজার গাড়ি এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছিল।
ইমতিয়াজ জলিল তার বক্তব্যে বিজেপি নেতা এবং ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইসলাম নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জন্য তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তবে পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে মুম্বাই শহরে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হন বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশের আইনশৃঙ্খলা বিভাগের জয়েন্ট কমিশনার সত্যনারায়ণ চৌধুরী জানান, বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি পেশ করে স্থান ত্যাগ করে। মুসল্লিদের পাশাপাশি দলিত ও মারাঠা সম্প্রদায়ের লোকজনও এই বিক্ষোভে অংশ নেয়।
এসএফ