সমতট ডেক্স ; সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীকে অবশেষে নিজ জন্মস্থান সিলেটে দাফন করা হচ্ছে। রোববার মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদায় ‘গার্ড অব অনার’ দিয়ে কানাইঘাটে শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানা প্রাঙ্গণে মরদেহ (দেহাবশেষ) পুনরায় দাফন করা হবে।
নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তার মেয়ে লন্ডন প্রবাসী ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে সক্ষম হলেন। আলাপকালে ব্যারিস্টার সামিরা আমার দেশ-কে জানান, আমি যে আমার পিতার শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে পারছি সে জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।
ব্যারিস্টার সামিরা জানান, রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেহাবশেষ সিলেটে নিয়ে আসা হবে। সিলেটের শাহী ঈদগাহ ময়দানে আজ বাদ জোহর জানাজা ও দোয়া মাহফিলের পর তার দেহাবশেষ দাফন করা হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীকে অবশেষে নিজ জন্মস্থান সিলেটে দাফন করা হচ্ছে। রোববার মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদায় ‘গার্ড অব অনার’ দিয়ে কানাইঘাটে শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানা প্রাঙ্গণে মরদেহ (দেহাবশেষ) পুনরায় দাফন করা হবে।
নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তার মেয়ে লন্ডন প্রবাসী ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে সক্ষম হলেন। আলাপকালে ব্যারিস্টার সামিরা আমার দেশ-কে জানান, আমি যে আমার পিতার শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে পারছি সে জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।
ব্যারিস্টার সামিরা জানান, রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেহাবশেষ সিলেটে নিয়ে আসা হবে। সিলেটের শাহী ঈদগাহ ময়দানে আজ বাদ জোহর জানাজা ও দোয়া মাহফিলের পর তার দেহাবশেষ দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পান্থপথে মারা যান হারিছ চৌধুরী। ১/১১-এর পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। তখন বিভিন্নভাবে প্রচার হয় তিনি ভারত, ইরান পরে লন্ডনে পালিয়ে রয়েছেন। আসলে তিনি দেশ ছেড়ে যাননি এবং দীর্ঘ ১১ বছর ‘মাহমুদুর রহমান’ নামে ঢাকার পান্থপথের একটি ফ্ল্যাটে ছিলেন।
প্রয়াত হারিছ চৌধুরীর মেয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। এরপর এটা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। অনেকেই বলতে থাকেন এটা বানানো গল্প। সিআইডি বিষয়টিকে উড়িয়ে দেয়। তারা বলেন, অযথাই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট শাসনামলে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে।
হাল ছাড়েননি সামিরা চৌধুরী। তিনি আবার আদালতে যান। এরপর ডিএনএ টেস্টের আবেদন করেন। ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ের বিচার শাখা থেকে ৮ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে সাভার মডেল থানাধীন জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নূরকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল দায়িত্ব পালনের কথাও বলা হয়।
এরপর হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-১০৭৮৭/২৪-এ হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য আদালত আদেশ দেয়। তার মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন এই মর্মে যে, তার পিতা হারিছ চৌধুরীকে জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থানে ‘মাহামুদুর রহমান’ নামে দাফন করা হয়। তার দেহাবশেষ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিচয় প্রমাণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করানো, পরিচয়ের ইতিবাচক ফলাফল, মৃত্যুসনদ পাওয়া, ইন্টারপোলের রেড নোটিস থেকে তার নাম মুছে ফেলা এবং তাকে নিজ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে দাফন করার আবেদন করেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরীর লাশ কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
মাহমুদুর রহমান নামে সাভারে দাফন করা মরদেহটি বিএনপি নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীর ছিল। পরিচয় নির্ধারণে কবর থেকে তুলে করা ডিএনএ টেস্টের ফল তার পরিবারের সঙ্গে মিলেছে। এখন পরিবারের পছন্দমতো কবরস্থানে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ দাফন করা যাবে বলে উচ্চ আদালতকে জানায় পুলিশ।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর লাপাত্তা হয়ে যান হারিছ। তখন অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তার তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি গাড়ি অন্যকে ব্যবহার করতে দেওয়ায় আরেক মামলায় তার ৫৯ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ হয়। এর পর থেকে পুলিশ তাকে খুঁজছিল।