তৌহিদ হোসেন বলেন //
“মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য”—এই চিরন্তন সত্যকে ধারণ করেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো মালেক-নুরজাহান ফাউন্ডেশন। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই এই ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য। তারই ধারাবাহিকতায় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ফাউন্ডেশন এবারও শতাধিক দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে।
সহানুভূতির স্পর্শে এক পরিপূর্ণ আয়োজন
কুমিল্লায় আয়োজিত এই মহতী উদ্যোগের প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তিনবারের নির্বাচিত সাবেক কাউন্সিলর কাজী গোলাম কিবরিয়া। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ সরোয়ার আলম মুন্সি, মালেক-নুরজাহান ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার ও সাংবাদিক তৌহিদ হোসেন সরকার, ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত আমীর আমান উল্লাহ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ রিপন হোসেন এবং কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ মজুমদার।
সুবিধাবঞ্চিতদের মুখে হাসি ফোটানোর এক প্রয়াস
রমজান মাস মানেই আত্মশুদ্ধি, সংযম আর দানের মাস। কিন্তু এই মাসেও অনেক মানুষ পর্যাপ্ত খাবার পান না, ইফতারের জন্য ন্যূনতম সামগ্রীও জোটে না তাদের ভাগ্যে। মালেক-নুরজাহান ফাউন্ডেশন সেইসব মানুষের মুখে একটু হাসি ফোটানোর প্রয়াস নিয়েছে। তেল, চাল, ডাল, ছোলা, খেজুর, চিনি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সমন্বয়ে গঠিত ইফতার প্যাকেজ পেয়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে ফুটে ওঠে স্বস্তির হাসি।
উদ্যোগি মানুষদের জন্য এক অনুপ্রেরণা
এই আয়োজন দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। উপস্থিত অতিথিরাও বলেছেন, সমাজের বিত্তবানদের উচিত এ ধরনের উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানো। কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, “মানবসেবাই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। এমন উদ্যোগ যদি আরও বাড়ানো যায়, তাহলে সমাজের দরিদ্র মানুষগুলো কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।”
আপনিও এগিয়ে আসুন
মালেক-নুরজাহান ফাউন্ডেশনের মতো আরও অনেক সংগঠন যদি এই মানবিক কাজে এগিয়ে আসে, তাহলে সমাজে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে। আমাদের সকলেরই উচিত যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী পাশে দাঁড়ানো, কারণ মানবতার জন্য কাজ করাই প্রকৃত সুখের উৎস।
রমজান শুধু সংযমের মাসই নয়, এটি আমাদের শিখিয়ে যায় মানবিকতার সত্যিকার শিক্ষা। আসুন, এই শিক্ষাকে আমরা সবাই নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করি এবং অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে একসঙ্গে কাজ করি।