টি-২০ ফরম্যাটে ছোট দল ও বড় দলের পার্থক্য থাকে না। গেল তিন-চার বছর রাজসিক, বিধ্বংসী ক্রিকেট খেলে কথাটা ভুল প্রমাণ করেছে ক্রিকেটের এলিট দলগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের ড্রপ ইন উইকেট ‘ধনী-গরীবের’ ওই পার্থক্য একেবারেই কমিয়ে আনে।
নিচু ও ধীর সঙ্গে আবার অসম বাউন্সের ওই উইকেটের চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে বাংলাদেশ দল এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে নাজমুল শান্তরা। যে ম্যাচে জিতলে সুপার এইটের টিকিট অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভিনসেন্টের উইকেট নিয়েও ধাঁ ধাঁ থেকে যাচ্ছে। কারণ এই মাঠে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সাকিব ও মাহমুদউল্লাহরা খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর বাংলাদেশ দল অনেকবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করলেও সেন্ট ভিনসেন্টে খেলা হয়নি। যে কারণে সাকিব-রিয়াদের ধুঁলো জমা স্মৃতি ছাড়া ভিনসেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা এই দলের আর কারো নেই।
পিচ রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেটের সাধারণ চরিত্র অনুযায়ী সেন্ট ভিনসেন্টের উইকেটও শুষ্ক হবে। পাশেই যেহেতু সমুদ্র আছে, গরম থাকবে। আকাশ পরিষ্কার থাকায় বাতাসের আধিক্য থাকবে। যে কারণে উইকেট স্পিন সহায়ক হতে পারে। তবে ফ্রেশ উইকেট হওয়ায় শুরুতে পেসাররা সহায়তা পেতে পারেন।
শুষ্ক উইকেট হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস কিংবা নাসাউ কাউন্টি গ্রাউন্ডের মতো অতো ধীর ও বল নিচু হয়ে আসা উইকেট নয় ভিনসেন্টে। ফ্রেশ উইকেট হওয়ায় বোলারদের সঙ্গে কিছু সুবিধা ব্যাটারাও পাবে। উইকেট অনুযায়ী, বড় রানের ম্যাচ না হওয়ায় সম্ভাবনা বেশি। অর্থাৎ ১৫০-১৭০ হতে পারে ভালো রান।