সমতট ডেস্ক: কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের লাড়োচৌ গ্রামের ফাইমা আক্তার (১৬) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ২২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে দশটার তার মৃত্যু হয়। ফাইমা আক্তার লাড়োচৌ গ্রামের রিপন মিয়ার মেয়ে। গত দুই মাস পূর্বে ফাইমা আক্তারের সাথে একই এলাকার কালন মিয়ার ছেলে রাব্বির বিয়ে হয়। রাব্বি এলাকায় সেলুনের কাজ করে।
এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা রিপন মিয়া জানান, বিয়ের পর থেকে রাব্বি আমার মেয়েকে সন্দেহ করত। এর সূত্র ধরে বিভিন্ন সময় তাদের কথা কাটাকাটি ও কলহল লেগে থাকত। আমার বাড়ি ও রাব্বির বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় আমরা প্রায়ই এই ঘটনাগুলো শুনতাম। ঘটনার দিন সকালে আমি জমিতে কাজ করা অবস্থায় কালনের বাড়িতে কান্নাকাটির আওয়াজ শুনি। কান্নাকাটির আওয়াজ শুনে আমি তাদের বাড়ি গেলে, তারা আমাকে হামলা ও মারধরের চেষ্টা করে। তখন আমার বাড়ি থেকে পাঁচ সাত জন লোক তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় রাব্বি ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেল করে আমার মেয়েকে কবরস্থানের পাশে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উপস্থিতি দেখে তারা ফাইমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। তখন তারা আমাদেরকে বলে ফাইমা ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরবর্তীতে আমরা ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে থানার এসআই অমর্ত্য মজুমদার লাশ উদ্ধার করে শোরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে মেয়ের চাচা শাহআলম জানান, আমার অল্প বয়সী ভাতিজিকে তার জোরপূর্বক বিয়ে করে নিয়ে এখন গলাটিপে হত্যা করেছে।
মেয়ের মা শাহেনা বেগম বলেন,আমার মেয়ে সিদলাই মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণীতে লেখাপড়া করত আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আমার মেয়েকে তারা বিয়ে করে নিয়ে যায়। বিয়ের পর থেকে দাম্পত্য কলহ ছিল তাদের মধ্যে ঘটনার দিন পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার এসআই অমর্ত্য মজুমদার বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে শোরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে কুমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।