সমতট ডেস্ক ।। এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতর, বাংলা নববর্ষ এবং পাহাড়বাসীর বৃহৎ সামজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিহুসহ বিভিন্ন উৎসব কাছাকাছি হওয়ায় আনন্দটা একটু বেশি। পর্যটন জেলা হওয়ায় এলাকা সারা বছর কমবেশি পর্যটকের উপস্থিতি থাকলেও এবার তা কয়েকগুণ বেশি হওয়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।
ইতিমধ্যে হোটেল, মোটেল, রিসোর্টগুলো বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে পর্যটন কেন্দ্রগুলো নতুন করে সাজানো হচ্ছে। কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপদে ভ্রমনের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন জেলা ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।
করোনা পরিস্থিতি ও পরবর্তীতে খাগড়াছড়ির আঞ্চলিক অস্থিরতার কারণে আশানুরুপ পর্যটন ব্যবসা হয়নি। তবে এবার জেলার সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ থাকায় ভালো ব্যবসার আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির সাজেক এক কেন্দ্রিক পর্যটক কেন্দ্র হওয়ায় ইতিমধ্যে বছরে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযাহা এই দুটি উৎসবে পাহাড়ে পর্যটক সমাগম বেশি হয়। তবে এবার বাংলা নববর্ষ ও পাহাড়ে বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীর উৎসব কাছাকাছি হওয়ায় টানা।কয়েকদিন ভালো ব্যবসা হবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
সাজেক রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে অবস্থিত হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা খাগড়াছড়ি হয়ে। সারাদেশ থেকে পর্যটকদের খাগড়াছড়ি হয়ে সাজেক যেতে হয়। সাজেকে বর্তমানে প্রায় ১২০টির মত কটেজ রিসোর্ট রয়েছে। সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাই বলেন, ১১ এপ্রিল থেকে প্রায় এক সপ্তাহ টানা বুকিং রয়েছে। পর্যটক বরণে আমরা যতটুকু সম্ভব প্রস্তুতি নিচ্ছি।
খাগড়াছড়ির হোটেল অরণ্য বিলাস এর ম্যানেজার মো. সাগর বলেন, এবার ঈদ এবং বৈসাবি উৎসব ঘিরে আশানুরুপ পর্যটক হবে। ইতিমধ্যে ঈদের দিন থেকে আমাদের টানা বুকিং রয়েছে। ইতিমধ্যে আমাদের ৭০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে।
এ বছরের ছুটি অন্যতম ছুটি জানিয়ে বেশ লম্বা সময় ধরে পর্যটকরা খাগড়াছড়ি মুখর করে রাখবেন বলে জানান খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, এবার ঈদ বাংলা নববর্ষের সাথে পাহাড়ে বৈসাবি উৎসবও কিন্তু কাছাকাছি সময়ে পড়েছে। তাই পর্যটকরা লম্বা ছুটির সাথে বাড়তি আয়োজনও দেখতে পারবে। আমরাও আশাব্যাঞ্জক ব্যবসা করতে পারবো।
পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে বাড়তি সতর্কতা রয়েছে জেলা ও ট্যুরিস্ট পুলিশ। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, তিনটি ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবকে সামনে রেখে আমরা সতর্ক রয়েছি। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। আশাকরি পর্যটকরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিজেদের মত করে ঘুরে বেড়াতে পারবে।
আগামী ১২ এপ্রিল থেকে পাহাড়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বৈসাবি শুরু হচ্ছে। পাহাড়ের বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর এসব উৎসব ঘিরে ইতিমধ্যে শহর থেকে পাড়া মহল্লায় নানান আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়েছে।