সমতট ডেস্ক: বিশ্ব ফুটবলে নিজেদের হারানো গৌরব যেন ফিরে পাওয়ার বার্তা দিচ্ছে চেলসি। সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক সাফল্যের মধ্যে থাকা প্যারিস সেন্ট-জার্মেইকে (পিএসজি) ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে ইংলিশ ক্লাবটি। ফাইনালের এই জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন ইংলিশ উইঙ্গার কোল পালমার।
পিএসজি এই মৌসুমে দারুণ ফর্মে ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ চারটি শিরোপা জিতেছিল তারা এবং ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছিল। তাই অনেকেই পিএসজিকে শিরোপার জন্য ফেভারিট মনে করেছিলেন। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে চেলসির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ফরাসি জায়ান্টরা।
ফাইনালে পিএসজির আক্রমণভাগ ছিল ধারহীন এবং রক্ষণ ছিল নড়বড়ে। অন্যদিকে, চেলসির জয়ের মূল স্থপতি ছিলেন কোল পালমার। তিনি একাই দুটি গোল করেন এবং তৃতীয় গোলটিতে সহায়তা করেন। পালমার ছাড়াও, চেলসির গোলরক্ষক রবার্তো সানচেজ তার অসাধারণ সেভ দিয়ে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। সানচেজ ফাইনালে মোট ছয়টি সেভ দিয়েছেন, যার মধ্যে চারটি ছিল নিশ্চিত গোল।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই সবকটি গোল হয়েছে। ২২তম মিনিটে পালমারের নিচু শটে এগিয়ে যায় চেলসি। এরপর আট মিনিটের মাথায়, প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে বাঁ পায়ের শটে নিজের এবং দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। ৪৩তম মিনিটে পালমারের সহায়তায় গোল করেন তরুণ ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার জোয়াও পেদ্রো। সম্প্রতি চেলসিতে যোগ দেওয়া পেদ্রো এই টুর্নামেন্টে মোট তিনটি গোল করেছেন।
এই জয়ের মাধ্যমে চেলসি তাদের মৌসুম শেষ করলো দুটি ট্রফি জিতে। এর আগে, গত মে মাসে তারা রিয়াল বেতিসকে ৪-১ গোলে হারিয়ে উয়েফা কনফারেন্স লিগের শিরোপা জিতেছিল। টানা ব্যর্থতার পর কোচ এনজো মারেস্কার অধীনে চেলসি যেন আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।