ঢাকা: শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বিটিভি এবং অন্যান্য স্থাপনায় নাশকতার জন্য দুষ্কৃতকারীদের ধরতে জনগণের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা বিটিভির ক্যান্টিন, রিসিপশন এবং গাড়িতে হামলা চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। অভিযোগ ওঠে, বিটিভি সঠিক তথ্য প্রচার না করে সরকারের পক্ষে নিউজ করছে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) নাশকতাকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর ১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে, তা মানতে পারছি না।”
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০টায় রামপুরায় ক্ষতিগ্রস্ত বিটিভি ভবন পরিদর্শন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
যারা এমন হামলার সঙ্গে জড়িত, তারা দেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। এজন্য দেশের জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “মানুষ রক্ত দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছে, সেটা ব্যর্থ হতে পারে না। তাই দেশের জনগণকে একত্রিত হয়ে এই নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারে সেটা নিশ্চিত করা হবে। দেশ যেন আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেই চেষ্টা করা হবে।” উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর থেকে রামপুরা-বাড্ডা সড়ক শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দখলে চলে যায়। তারা বাঁশ ও লোহার রড নিয়ে সড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। শ্রমজীবীরাও তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। দুপুর ২টার দিকে বিটিভির ক্যান্টিন, রিসিপশন এবং গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। একই সময়ে বাড্ডায় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, “দেশের জনগণ যেন নির্বিঘ্নে এবং সুরক্ষিতভাবে চলাফেরা করতে পারে, সেটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদের প্রতিহত করতে জনগণকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।”