সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিপুলসংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং মৌলভীবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় প্রায় ৪ লাখেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়েছে এবং ২৯ লাখেরও বেশি পরিবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে বন্যাদুর্গত এলাকাগুলো পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, দেশের বন্যা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন প্রধান উপদেষ্টা। এখন পর্যন্ত ১০টি জেলায় ৩৬ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছেন এবং দুজনের মৃত্যু হয়েছে, তবে নিখোঁজের কোনো খবর নেই।
শফিকুল আলম আরো উল্লেখ করেন, নদীগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে বন্যার পানি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে, যা ক্ষতির মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।
এদিকে, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের কথাও উল্লেখ করেন প্রেস সচিব। তিনি বলেন, বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনার বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ত্রিপুরায় বন্যা অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল এবং এতে দুদেশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রণয় ভার্মা। তিনি জানান, সয়ংক্রীয়ভাবে বাঁধ খুলে যাওয়ার ফলেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
প্রেস সচিব আরো বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে পানিবণ্টন বিষয়ে দুদেশের সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন। বৈঠকে সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানান তিনি।
এমন কঠিন সময়ে, উপদেষ্টাদের এই পরিদর্শন বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের জন্য সহায়ক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা এখন অত্যন্ত জরুরি।