সমতট ডেক্স : কুমিল্লার দেবিদ্বারে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে শবে বরাতের নামাজ চলাকালে মসজিদে ঢুকে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত মসজিদের সেক্রেটারি ইব্রাহীমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
শুক্রবার রাতে দেবিদ্বার পৌর এলাকার ফতেহাবাদ দক্ষিণ পাড়া বায়তুল আকসা জামে মসজিদে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
অন্য আহতদের দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতরা হলেন ইসমাইল (৩৫), কামরুল (১৯), কাওসার (২৮)।
প্রত্যক্ষদর্শী মসজিদের মুসল্লিরা জানান, এক মাস আগে মাঠে ক্রিকেট খেলা নিয়ে পার্শ্ববর্তী নয়াকান্দি গ্রামের ছেলেদের সঙ্গে ফতেহাবাদ দক্ষিণপাড়া গ্রামের ছেলেদের মারামারি হয়। ওই মারামারিকে কেন্দ্র শুক্রবার বিকালে নয়াকান্দি গ্রামের একজনকে মারধর করা হয়। পরে রাত ৯টার দিকে নয়াকান্দি গ্রামের ছেলেরা ফতেহাবাদ গ্রামের কামরুলকে রাস্তায় পেয়ে মারধর করে।
এসময় কামরুলের সঙ্গে থাকা অন্য ছেলেরা প্রাণভয়ে দৌড়ে এসে মসজিদে ঢুকে পড়লে নয়াকান্দি গ্রামের ছেলেরা তাদের খুঁজতে এসে নামাজরত মুসল্লিদের এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং ভাঙচুর চালায়। বাধা দিলে তারা মসজিদের সেক্রেটারি ইব্রাহীমকেসহ চারজন পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে ইমাম মাইক দিয়ে ঘোষণা দেন মসজিদে ডাকাত পড়েছে। তখন তারা পালিয়ে যায়।
মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেন, ১০/১২ জন ছেলে হঠাৎ মসজিদে ঢুকে এলোপাতাড়ি মসজিদের গ্লাস, দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। তাদের হাতে রড, হকিস্টিক ও পাইপ ছিল। মসজিদের সেক্রেটারি ইব্রাহীম বাধা দিলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
মসজিদের সভাপতি সাবেক কমিশনার আবুল কাশেম বলেন, আমরা মসজিদে নামাজ পড়ছিলাম। হঠাৎ দেখি একদল ছেলে মসজিদের বাইরে থেকে চারদিকের গ্লাস, দরজা-জানালা ভাঙচুর করছে। এদের কয়েকজন মসজিদের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। পরে শুনেছি ক্রিকেট খেলা নিয়ে আগের মারামারিকে কেন্দ্র করে হামলার এই ঘটনা ঘটেছে।
দেবিদ্বার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুইপক্ষের মারামারির জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এক পক্ষের ছেলেরা মসজিদ ভাঙচুর করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় শনিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি। মামলা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।