সিলেটে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে বড় হার দেখায় চট্টগ্রাম টেস্ট পরিণত হয়েছে বাঁচা-মরার যুদ্ধে। তবে এই টেস্টও ভালো কাটছে না নাজমুল হোসেন শান্তদের। বাংলাদেশের বোলারদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে প্রথম দুই সেশনেই তুলে নিয়েছে রানের ডাবল সেঞ্চুরি। ওভারপ্রতি সাড়ে তিনের বেশি হারে রান তুলে করেছে ২১৪। হাসান মাহমুদের কল্যাণে এই সময়ে নিতে পেরেছে ২ উইকেট। ফিফটি পেয়েছেন শুরুর তিন ব্যাটার নিশান মাদুশকা, দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল মেন্ডিস।
প্রথম দুই সেশনের ৫৮ ওভার শেষে শ্রীলংকার রান ২ উইকেট হারিয়ে ২১৪। ফিফটি করে ৬৫ রানে অপরাজিত আছেন কুশল। তার সঙ্গে উইকেটে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ৫৭ রান করে আউট হয়েছেন মাদুশকা। করুনারত্নে ফিরেছেন ৮৬ রান করে।
এদিন টেস্টে অভিষেক হয় পেসার হাসান মাহমুদের। দলীয় ষষ্ঠ ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন তিনি। তবে তার বলে স্লিপে মাদুশকার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মাহমুদুল হাসান জয়। অভিষেক ম্যাচে আরও দুর্ভাগ্য তাড়া করে বেরিয়েছে হাসানের। ২২তম ওভারে হাসানের বাউন্সারে ফাইন লেগে ক্যাচ তোলেন করুনারত্নে। তবে বাউন্ডারি লাইন থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকায় ক্যাচ মিস করেন সাকিব আল হাসান। তার হাতে লেগে হয় ছক্কা। উইকেটশূন্য অবস্থায়ই প্রথম সেশন শেষ করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেশনের প্রথমেই উইকেট পায় বাংলাদেশ। সেটি হাসান মাহমুদের কৃতিত্বে। তবে বলে নয়, ফিল্ডিংয়ে। ২৯তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৯৬ রানের মাথায় তার দুর্দান্ত থ্রোয়ে ফেরেন মাদুশকা। এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন করুনারত্নে ও কুশল। বল হাতে প্রথম সাফল্য আসে সেই হাসানের হাত ধরেই। ৫৬তম ওভারের প্রথম বলে হাসান মাহমুদের বলে করুনারত্নে সরাসরি বোল্ড হলে ভাঙে ‘লংকান ওয়াল’। ১২৯ বলে ৮টি চার ও ১ ছক্কায় এই রান করেন করুনারত্নে। এরপর মাঠে নামেন ম্যাথিউস।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে টস জিতে বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠান শ্রীলংকার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। বাংলাদেশ তাদের একাদশে দুইটি পরিবর্তন এনেছে। দলে ঢুকেছেন সাকিব আল হাসান ও হাসান মাহমুদ। এই ম্যাচই হতে যাচ্ছে হাসান মাহমুদের অভিষেক ম্যাচ। সিলেট টেস্ট থেকে বাদ পড়েছেন তরুণ নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলাম। শ্রীলংকা তাদের একাদশে একটি পরিবর্তনই এনেছে। সিলেট টেস্টে ৮ উইকেট পাওয়া কাসুন রাজিথা ইনজুরির কারণে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন আরেক পেসার কাসুন রাজিথা।
চট্টগ্রামের মাঠ বরাবরই ব্যাটিং স্বর্গ। এই ম্যাচেও দেখা যেতে পারে রানবন্যা। এই মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে হওয়া শেষ তিনটি টেস্টই ড্র হয়েছে। মাঠের রান প্রসবের পক্ষেই কথা বলে এই পরিসংখ্যান। তবে বাংলাদেশকে ভাবাচ্ছে সাম্প্রতিক ফর্ম। সিলেটে লংকানদের বিপক্ষে ৩২৮ রানে হারের ম্যাচে বাংলাদেশ দুই ইনিংসে অলআউট হয়েছে মাত্র ১৮৮ ও ১৮২ রানে।