সমতট ডেস্ক: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু বলেছেন গত দুই-তিন দিন ধরে কতিপয় অর্বাচীন তারেক রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন। তারা বলছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সন্তান হওয়া হলে তার ছেলেকে নেতা হতে হবে নাকি। এসব নাবালক ছেলেরা অত্যন্ত ঘৃণিতভাবে তারেক রহমানের নামটি উচ্চারণ করে থাকে। আমি বলবো তারেক রহমানের নাম নিতে হলে আপনাদেরকে আগে ওযু করতে হবে। কারণ তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানে যোগ্য উত্তরসূরী।মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা টাউনহল প্রাঙ্গণে আয়োজিত মহানগর বিএনপির সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন বুলু। সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। নগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন প্রমুখ।
বরকতউল্লাহ বুল বলেন-েআপনাদের মতো নাবালক, উপদেষ্টারা নাবালক এইভাবে কথা বলে দেশকে বিভক্ত করবেন না। তারেক রহমান বাংলাদেশের অভিসংবাদিত নেতা। তিনি বাংলাদেশে ফিরে এসে নির্বাচন করবেন। আড়াই বছর আগে তিনি ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। আপনাদের কোনো পরামর্শ থাকলে এর সাথে সংযোজন করতে পারেন। এটি ওনি বলেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি এককভাবে আড়াইশ আসন পেলে এককভাবে সরকার গঠন করবে না। যারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে তাদের সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করবো। কারণ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, যে প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেননি। তাই আগামীতে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে সংযতভাবে কথা বলার আহবা্ন জানান বুলু।
তারেক রহমান বলেন, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশে যদি আমরা গণতন্ত্রেরের ভিত্তি রচনা করতে পারি, গণতন্ত্রের চর্চাকে আমরা যদি অব্যাহত রাখতে পারি, তাহলে এই দেশকে দেশের মানুষকে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। আমরা যত বেশি গণতন্ত্রের চর্চাকে অব্যাহত রাখতে পারবো, যত বেশি দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে পারবো ততই দেশের সব মানুষকে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবো।
তিনি বলেন, গত ১৫-১৬ বছর বিএনপি অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, গায়েবি মামলা, মিথ্যা মামলা এসব পার করেছে। আমরা যারা বিএনপি করি, প্রত্যেকে বিশ্বাস করি, বিএনপি আজ জনগণের দলে পরিণত হয়েছে। জনগণের একটি রাজনৈতিক দলে বিএনপি নিজেকে রূপান্তর করতে পেরেছে। আমাদের হয়তো অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। কিন্তু এই প্রতিবন্ধকতাগুলোকে পর্যায়ক্রমে অতিক্রম করে আরও দৃঢ়ভাবে আমরা কীভাবে জনগণের চাওয়া পূরণ করবো, সেই চেষ্টা অব্যাহত আছে। এই চেষ্টা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে। বিএনপি জনগণের কথা বলে। এই দলের কাছে যখন সুযোগ থাকে, দল চেষ্টা করে কীভাবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা যায়। একটি রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা থাকে কীভাবে নীতি আদর্শকে জনগণের কাছে নিয়ে যাবে, কীভাবে জনগণের কাছে দলকে সম্পৃক্ত করবে। রাজনৈতিক দল সরকার গঠন করলে পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করবে।