সভাপতির পরিচয় প্রকাশিত, সেক্রেটারি জেনারেলের নামও জানা গেছে
দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে গোপনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে এসেছে ছাত্রশিবির। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তাদের পরিচয় প্রকাশ করেন। সাদিক কায়েম, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার দা সূর্যসেন হলের ছাত্র, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতিতে নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে এমনই ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যখন সাদিক কায়েম তার পরিচয় প্রকাশের মাধ্যমে ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি নতুন করে জানান দেয়। একই সঙ্গে, ঢাবি শাখার সেক্রেটারি জেনারেলের পরিচয়ও উঠে আসে। তিনি হলেন এস এম ফরহাদ, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
প্রকাশ্যে শিবিরের প্রত্যাবর্তন
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে ১০ ছাত্র সংগঠনের বৈঠকে শিবিরের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সাদিক কায়েম ও সাহিত্য সম্পাদক রেজাউল করিম শাকিল। বৈঠক শেষে সাদিক গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার পরিচয় নিশ্চিত করেন। এর পরপরই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। উল্লেখযোগ্য যে, সাদিক এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন, যা তাকে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
সাদিক কায়েমের পরিচয় প্রকাশের পরপরই সেক্রেটারি জেনারেল এস এম ফরহাদের নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। যদিও তিনি নিজে থেকে প্রকাশ্যে কিছু জানাননি, তবে সামাজিক মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে।
শিবিরের ঢাবি কমিটি প্রকাশের অপেক্ষা
সাদিক কায়েম গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। তিনি অভিযোগ করেন, বিগত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী সরকার তাদেরকে গোপনে রাজনীতি করতে বাধ্য করেছে। নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শিবিরের উপস্থিতি আরও সুসংগঠিতভাবে দৃশ্যমান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের ২১টি পদ রয়েছে বলে জানা গেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পদগুলো হলো সভাপতি, সেক্রেটারি জেনারেল, সাংগঠনিক সম্পাদক, শিক্ষা সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, এবং সাহিত্য সম্পাদকসহ অন্যান্য। তবে এখানে সহসভাপতি বা সহসম্পাদক পদ নেই এবং সাধারণ সম্পাদককে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে উল্লেখ করা হয়।