সমতট ডেস্ক ।।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশ গঠনের পথে এক নতুন দিগন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তরুণদের অদম্য নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে সমাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে, যা একটি সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। তরুণদের এই সংগ্রামের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস বলেন, “যুবসমাজের আত্মত্যাগ আমাদের জন্য এক বিরাট সুযোগ তৈরি করেছে, যা আমরা হারাতে চাই না। তাদের সাহসিকতা ও ত্যাগের বিনিময়ে নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ এসেছে। এজন্য বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা অপরিহার্য।”
বাংলাদেশের জাতিসংঘের সদস্যপদের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি। ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, “তরুণদের স্বপ্ন ধ্বংসের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, কিন্তু তারা সেই অবিচার ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, যেখানে গণতন্ত্রের শক্তি দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের আন্তর্জাতিক বন্ধুদের পাশে দরকার।”
ড. ইউনূসের সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত প্রমুখ। অনুষ্ঠানে গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলমের লেখা দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
ড. ইউনূস তার বক্তব্যে বলেন, “তরুণরা বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে তাদের স্বপ্নের জন্য লড়াই করেছে। এই নতুন বাংলাদেশের জন্য আমরা বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।”
প্রধান উপদেষ্টা আগামী শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন বলে জানা গেছে, যেখানে তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পথচলা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবেন।