নিজস্ব প্রতিবেদক।। জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়কে অবমূল্যায়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাপের মুখে অনুষ্ঠান এবং আনন্দ শোভাযাত্রা বয়কট করতে বাধ্য হন অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অধ্যক্ষের নেতৃত্বে সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৮টায় ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় উপস্থিত হন তারা।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নগরীর ৪টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভূক্ত করে কমিটি করে যার মধ্যে ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয় একটি। অনুষ্ঠানে সবার আগে উপস্থিত হওয়ার পরও মাইকে পর্যন্ত এ কলেজের নাম ও অধ্যক্ষের নাম ঘোষণা দেয়া হয়নি। এমনকি কলেজ অধ্যক্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য হওয়া সত্বেও মঞ্চে আহবান করা হয়নি। শুধু এবারই নয়, গত কয়েক বছরই ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের প্রতি এমন বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।
বিষয়টির জন্য ভাষা সৈনিক অজিত গুহ কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ অপমানজনক বোধ করেন। তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানস্থল এবং শোভাযাত্রা বয়কট করতে অধ্যক্ষকে অনুরোধ করেন।
অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম কমিটিকে বিষয়টি অবগত করার পরও জেলা প্রশাসন ও ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ পরস্পরের ওপর দায় চাপান। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেননি।
ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. শরিফুল ইসলাম বলেন- সকাল পৌনে ৮টায় অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়ে কর্তৃপক্ষকে আমাদের অংশগ্রহণের বিষয়টি অবগত করেছি। তারপরও কেন আমাদের প্রতিষ্ঠানকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে তা বোধগম্য নয়।
এর আগেও বিষয়টি সমাধানের জন্য বলা হলেও কখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই নগরীর ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রতি অবজ্ঞার বিষয়টি আমাদেরকে ব্যথিত করেছে। তাই অনুষ্ঠান ও আনন্দ শোভাযাত্রা বয়কট করেছি।
তিনি বলেন আমাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসেও বাংলা বর্ষণের ঝাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
তবে কী কারণে ভাষা সৈনিক অজিত গুহ মহাবিদ্যালয়কে অবজ্ঞা করা হয়েছে, সে বিষয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেও কুমিল্লা জেলা প্রশাসন এবং ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।