সমতট ডেস্ক: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিয়েছেন তার দল লিবারেল পার্টির অসন্তুষ্ট এমপিরা। আলটিমেটাম অনুযায়ী তাকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। নয়তো পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন দাবিকারীরা।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডার লিবারেল পার্টির অসন্তুষ্টি এমপিরা বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। তাতে অন্তত ২০ জন এমপি ট্রুডোকে পরবর্তী নির্বাচনে সম্ভাব্য পরাজয়ের আগে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান। এসব এমপিদের কেউ কেউ মন্ত্রিসভারও সদস্য।
বৈঠকে এমপিরা ট্রুডোর কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের বিষয়ে একটি রূপরেখা দেন। যাতে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগ করতে বলা হয়। জাস্টিন ট্রুডোকে তারা বলেন, ‘আপনি নেতা হিসেবে থেকে বিদ্রোহের সম্ভাবনার মুখোমুখি হবেন কি না তা আগামী সপ্তাহের শুরুতেই সিদ্ধান্ত নিন।’
বৈঠকে এমপিরা পদত্যাগের দাবিটি লিখিত আকারে ট্রুডোকে দেন। তাতে অসন্তুষ্ট এমপিদের সই রয়েছে। তবে ট্রুডো পদত্যাগ না করলে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা স্পষ্ট করে কেউ জানাতে পারেননি।
পার্লামেন্টে ১৫৩ জন লিবারেল পার্টির সদস্য রয়েছেন। বিদ্রোহের যে সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে তা বাস্তবায়নে এখনও ব্যাপক সমর্থনের অভাব রয়েছে। এ ছাড়া ট্রুডোর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও দলের বিকল্প নেতা হিসেবে কেউ তার বিরুদ্ধে দাঁড়াননি।
এর আগেও ট্রুডোকে সরানোর চেষ্টা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে কানাডার পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটও হয়। তবে তাতে টিকে গেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়ায় তাকে এ পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। ট্রুডোর সংখ্যালঘু লিবারেল সরকারের প্রতি আস্থার অভাব ঘোষণা করে পার্লামেন্টে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টি এ প্রস্তাব আনে। এতে ট্রুডো সরকারের পক্ষে ২১১-১২০ ভোট পড়ায় এ যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। গত ৯ বছর ধরে সংখ্যালঘু সরকারের অধীনে কানাডার প্রধানমন্ত্রিত্ব করছেন ট্রুডো। ২০২১ সালে দেশটির সর্বশেষ ফেডারেল নির্বাচনের পর তার দল লিবারেল পার্টি বামপন্থি নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ায় ট্রুডোর নেতৃত্ব এখনো টিকে আছে। তবে চলতি মাসেই ট্রুডোর উদারপন্থি সরকারের সমালোচনা করে জোট থেকে বেরিয়ে যায় জগমিত সিংয়ের নেতৃত্বাধীন এনডিপি। এরপরই ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি ওঠে। কনজারভেটিভ দলের নেতা পিয়েরে পোইলিভ অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করেন।