স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক জায়গায় জমি কিনে জোর পূর্বক অন্য পাশ দিয়ে অতিরিক্ত দখল করা জমি ফেরত চেয়েছেন প্রকৃত মালিকরা। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় কনকাপৈত বাজারে একটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান ওই এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আবদুল মমিন এবং আমিনুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগে তারা জানান, ওয়ারিশ সূত্রে চৌদ্দগ্রাম কনকাপৈত মৌজায় ১২৫ দাগে তাদের ৩১ শতাংশ জমি রয়েছে। এর অংশীদার আমরা ৮ ভাই তিন বোন। এর মধ্যে ২০১৬ সালে আমাদের এক ভাই দৌলত আহমেদ উক্ত জমি থেকে ১.২৪ শতাংশ বিক্রি করে একই এলাকার খোরশেদ আলমের কাছে । পরবর্তীতে তার (খোরশেদ) এর আপন ভায়রা ভাই মোস্তফা কামাল (৫০) ও তার ভাই কনকাপৈত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এক সিরিয়ালের ৪.৬৪ শতাংশ জমির ২ শতাংশ দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করেন। শুধু তাই নয় এক শতক জমি উত্তর-দক্ষিণে কিনলেও অতিরিক্ত এক শতকসহ দখল করেছেন পূর্ব-পশ্চিমে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। মূলত জোর খাটিয়ে ২০১৯ সালে সেখানে দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিচ্ছেন তারা। প্রতি মাসে সেখান থেকে ভাড়া উত্তোলন করছেন চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল ও তার লোকজন। মূলত বিগত সরকারের প্রভাব খাটিয়ে তিনি আমাদেরকে এলাকা ছাড়া করায় এতো দিন আমরা কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারিনি। তাই চলতি ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর চৌদ্দগ্রাম পুলিশ ফাঁড়িতে তার নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। যার নং ৩১/১৯ এতে আসামি করা হয়েছে একই এলাকার আব্দুর রহমানে ছেলে মোস্তফা কামাল (৬০) ও কনকাপৈত ইউপির চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল, সান্দিশকরা এলাকার বাবুল সিংহের ছেলে আশিষ কুমার সিংহ, কনকাপৈত এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আব্দুর রউফ ও মৃত আনা মিয়ার ছেলে মো. ইসমাইল। এর মধ্যে প্রথম দুই আসামি জমি দখলদার। আর বাকীরা তাদের যোগসাজশে সেখানে দোকানদারি করছে। সর্বশেষ গত ৮ সেপ্টেম্বর সম্পত্তি বুঝে নিতে গেলে তারা আমাদের সাথে বাগ-বিতণ্ডায় জড়ায়। পরবর্তীতে জায়গা সম্পত্তির বিরোধকে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বলে অপপ্রচার করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। দোকানের ভাড়াটিয়া
আশিষ কুমার সিংহ বলেন, আমাদের সাথে যাদের চুক্তি হয়েছে, তাদের কাছেই ভাড়া দিয়ে আসছি। এখন যদি জায়গার মালিকানা পরিবর্তন হয় তাহলে আমাদের কিছু করার থাকবে না। অবশ্য জায়গার প্রকৃত মালিক দাবিদার আমিনুল ইসলাম বলেন আমাদের জমি অবৈধভাবে দখল করে ভাড়া আদায় করছেন চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল। আর তার সাথে বর্তমান দোকান মালিকদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই আমরা আমাদের জায়গা ফেরত চাই এবং এখন থেকে আমাদের কাছে ভাড়া দিতে হবে।
এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত কনকাপৈত ইউনিয়নের পলাতক চেয়ারম্যান জাফর ইকবালের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তদন্ত কর্মকর্তা ও কনকাপৈত ফাঁড়ি থানার ইনচার্জ মফিজুর রহমান বলেন, মামলার পরপরই তদন্ত প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছি। শীঘ্রই বিষয়টি সুরাহা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।