যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে ভারত এখন বেশ নড়েচড়ে বসেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যেভাবে নিজেদের সামরিক শক্তিমত্তা নিয়ে গর্বে আকাশে ভাসছিলেন নরেন্দ্র মোদি এবং তার দলের লোকজন।
পাকিস্তানের পাশাপাশি চীনকেও তারা যেন তোয়াক্কাই করছে না- এমন একটা ভাব ফুটে ওঠে তাদের আচার-আচরণে। কিন্তু শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র যে গোয়েন্তা তথ্য মোদিকে দিয়েছে- তাতেই ঘাবড়ে যায় ভারত।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি তারা চীনের সঙ্গেও সম্পর্ক স্বাভাকিব করার উদ্যোগ নেয় ভারত। এরই অংশ হিসেবে ভারতের চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং শিগগিরই আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে বলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে ফোনালাপে জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। শনিবার চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য এবং কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের পরিচালক ওয়াং ই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
পরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দুজনের কথোপকথনের ভিত্তিতে এ বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দোভাল বলেছেন- ভারতের পেহেলগামে হামলায় ভারতীয়দের মধ্যে গুরুতর হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে ভারত কঠোর সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
যুদ্ধ ভারতের ‘পছন্দ’ না এবং এটি কোন পক্ষের স্বার্থেও নয়। ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং শিগগিরই আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ই পেহেলগাম হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, চীন সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করে। তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্ব পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং এশিয়াতে শান্তি বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়াং ই আরো বলেন, ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই চীনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। ভারত যুদ্ধ চায় না- দেশটির এমন অবস্থানকে প্রশংসা করে চীন।
এই বিবৃতি অনুযায়ী, দুই দেশ এবং বিশ্বের স্বার্থে ভারত ও পাকিস্তান সংলাপের মাধ্যমে স্থায়ী শান্তির দিকে এগিয়ে যাবে এমনটাই চায় চীন।
–এমএমএস
ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
পাকিস্তান
ভারত
ডোনাল্ড ট্রাম্প