বল করতে গিয়ে শুরুতেই সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। লাঞ্চের আগে বাকিটা সময় দুই লঙ্কান ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে আর নিশান মাদুশকা মিলে নাজমুল হোসেন শান্তদের সময়টা করে তুলেন হতাশাময়।
ব্যাট করার জন্য সহায়ক উইকেট সংশয় ছাড়াই ব্যাটিং বেছে নেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তার সিদ্ধান্ত যে কতটা যৌক্তিক টের পাওয়া যায় খেলা শুরু হতেই। মাহমুদুল হাসান জয় ক্যাচ না ফেললে অন্তত একটি উইকেট পেতে পারত স্বাগতিক দল।
শুরুতে পেসাররা মুভমেন্ট আদায় করছিলেন, তবে সেসব ছোবল সামাল দিয়ে এগুতে সমস্যা হচ্ছিলো না লঙ্কান ওপেনারদের। উইকেট পেতে মরিয়া বাংলাদেশ প্রথম সেশনে ব্যবহার করেছে পাঁচ বোলার। পেসারদের একাধিক স্পেলে ঘুরিয়ে বল করিয়েছেন শান্ত, কিন্তু শুরুতে হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর সুযোগ আসেনি।
অভিষিক্ত হাসান বল হাতে নিয়েই ব্যাটারদের ভোগাচ্ছিলেন। দুই দিকেই বল মুভ করাতে পারছিলেন তিনি। ৬ষ্ঠ ওভারে প্রথম টেস্ট উইকেট পেতেই পারতেন এই ডানহাতি পেসার। তার লেন্থ ডেলিভারি দ্বিধাগ্রস্থভাবে খেলে স্লিপে ক্যাচ দেন মাদুশকা। দ্বিতীয় স্লিপে সহজ ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি জয়। ৯ রানে বেঁচে যান লঙ্কান ওপেনার। সিলেটে আগের টেস্টেও ক্যাচ মিস করে দলের হতাশার কারণ হন জয়। শূন্য রানে তার হাতে জীবন পাওয়া কামিন্দু মেন্ডিস পরে করেন ১০২ রান।
সপ্তম ওভারে বল করতে আসেন প্রায় এক বছর পর ফেরা সাকিব আল হাসান। তার প্রথম ওভার থেকে এক বাউন্ডারিতে ৬ রান নেন করুনারত্নে। সাকিব দুই ওভারের স্পেল করেই আর বাকি সেশনে আসেননি।
মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিন দিয়েও ব্যাটারদের টলানো যায়নি। এখন পর্যন্ত তার বোলিং বেশ নির্বিষ লাগছে। শেষ দিকে তাইজুলকে বল দিয়েও ব্রেক থ্রো পাননি শান্ত।
হাসানকে দিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রথম সেশনেই ৯ ওভার করানো হয়েছে। এই পেসার ঝাঁজ বুঝতে পেরে তাকে সতর্ক হয়ে সামাল দিচ্ছেন লঙ্কান ওপেনাররা।