সমতট ডেস্ক : ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাড়িতে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলার পর যেকোনো মুহূর্তে হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। নেতানিয়াহুর বাড়িতে ড্রোন হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে আসছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী।
জানা যায়, ইসরায়েল গত কয়েক দিন ধরে ইরানে বড় ধরনের হামলার জন্য পরিকল্পনা করছে। খামেনি আগে থেকেই ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্য ছিলেন তবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। খুব কম সময়ের মধ্যে ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ, হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নিহতের ঘটনা খামেনির জন্য বিপদ সংকেত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
জেনেভা সেন্টার ফর সিকিউরিটি পলিসির নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং বৈশ্বিক ঝুঁকিবিষয়ক প্রধান জিন-মার্ক রিকলি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর বাড়িতে হামলার জন্য ইরানের দিকে আঙুল তোলায় চলমান দ্বন্দ্ব আরও তীব্ররূপ ধারণ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা নেতানিয়াহুর বাড়িতে ড্রোন হামলাকে হত্যাচেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করি এবং ইরানে এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করি তাহলে দেখা যাবে, ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যে পরিণত হতে পারেন প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল ইরানের প্রক্সি এবং অন্যদের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছে। তাদের টার্গেট শুধু হিজবুল্লাহ নয়, হুতিসহ অন্য দলগুলোও। ইসরায়েল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তারা হামাস ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে যা করছে সেগুলো অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও করবে। ফলে প্রথমে তারা এসব গোষ্ঠীর প্রধানদের হত্যা করবে। এরপর তাদের পুরোপুরি দমনের চেষ্টা করবে।’
গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলে ইরানের মিসাইল হামলার পর দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। ইসরায়েল হুমকি দেয় তারা ইরানের পরমাণু স্থাপনা, তেল শোধনাগার, সামরিক স্থাপনা ও রাজনৈতিক নেতাদের বাসভবনকে লক্ষ্য করা হবে। ইরানও পাল্টা হুমকি দেয়, ইসরায়েল যদি হামলা চালায় তাহলে তাদের লক্ষ্য করে আবারও পাল্টা হামলা চালানো হবে। সূত্র: আল-জাজিরা।