খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির কিছু এলাকায় সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সহিংসতার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে রাঙ্গামাটির পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা কার্যকর করা হয়েছে, এবং খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় দুপুর ২টা থেকে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা শুক্রবার রাঙ্গামাটিতে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকালে পাহাড়ি ছাত্ররা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে, যা রাঙ্গামাটির বনরূপা এলাকায় পৌঁছায়। সেখানে তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানে হামলা চালায়।
সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়, এবং বাঙালি সম্প্রদায়ের লোকজন প্রতিরোধের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে কয়েকটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনো শহরের পরিবেশ উত্তেজনাপূর্ণ।
দীঘিনালায় সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে জুনান চাকমা (২০), ধনঞ্জয় চাকমা (৫০), এবং রুবেল চাকমা (৩০) রয়েছেন। সংঘর্ষে আহত ১৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ।
এই সহিংসতার ফলে পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং শতাধিক দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, সংঘর্ষের সময় সারারাত গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।