যারা বিমান ভ্রমণ করেন তারা জেট ল্যাগ শব্দের সঙ্গে পরিচিত। বিমানে দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করলে ভ্রমণের দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত ঘুম ঘুম ভাব, অবসাদ, খিটখিটে মেজাজ, বমি বমি ভাব, পেটের সমস্যা, মাথাব্যথা, বিরক্তি ভাব, মুড সুইং ইত্যাদি দেখা দেয়। মাংসপেশি ও শারীরিক দুর্বলতাও দেখা দেয়। জেট ল্যাগ কাটাতে কারও একদিন লাগে, কারও বা আরও বেশি সময় লেগে যায়। কিছু সহজ টিপস মেনে চললে দ্রুত জেট ল্যাগ কাটানো যায়।
• আপনি যে দেশে যাবেন, সে দেশের টাইম জোন সম্পর্কে জেনে নিন। যাওয়ার কয়েক দিন আগে থেকে সে দেশের টাইম অনুযায়ী আপনার দিন ও রাতের রুটিন পরিবর্তন করে নিজেকে প্রস্তুত করুন।
• বিমান ভ্রমণের ১০-১২ ঘণ্টা আগে থেকে চা-কফি এড়িয়ে চলুন। অ্যালকোহল জাতীয় কিছু খাবেন না। হালকা অর্থাৎ স্ন্যাকস জাতীয় খাবার খেয়ে বিমানে উঠুন। ভারি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
• বিমানে ওঠার আগে, বিমানে ওঠে এবং বিমান থেকে নামার পর পর্যাপ্ত পানি পান করুন। কেননা বিমান ভ্রমণে ডিহাইড্রেশন হয়ে থাকে। বিমানে থাকা অবস্থায় পিপাসা না লাগলেও প্রতি ঘণ্টায় পানি পান করুন।
• উড্ডয়নের পর বিমানে চুপচাপ বসে না থেকে পেশি স্ট্রেচিং করুন। মাঝে মাঝে উঠে দাঁড়ান। চলাফেরা করুন।
• কন্টাক্ট লেন্স পরে বিমানে উঠলে ঘুমানোর আগে তা খুলে নিন। সঙ্গে চোখের ড্রপ রাখুন।
• নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে ঘুমের আগে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। ভারি ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। ভারি ব্যায়াম থেকে বিরত থাকুন।
• যে দেশে যাবেন সেখানে দিনের বেলা গায়ে সূর্যের আলো লাগান। এতে স্থানীয় সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সুবিধা হবে। দিনে ক্লান্ত লাগলে কিংবা ঘুম পেলে ঘুমাবেন না। সে দেশের সময় অনুযায়ী রাত হলে তবেই ঘুমাবেন।
• জেট ল্যাগ কাটাতে ঘুম যেন ভালো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। রুমের তাপমাত্রা যেন স্বাভাবিক থাকে তা দেখুন। বাইরের উচ্চ শব্দ, ঘড়ির অ্যালার্ম যেন আপনার ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।