ভারতের লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের কার ভাগ্যে কী আছে তা জানা যাবে মঙ্গলবার (৪ জুন)। এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোট গণনা। একই সঙ্গে জানা যাবে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের শাসন আগামী পাঁচ বছরের জন্য কাদের হাতে তুলে দিলেন দেশটির সাধারণ জনগণ।
ভারতজুড়ে ভোট গণনা কেন্দ্রগুলোতে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও বাড়ছে রক্তচাপ। শুরু হয়েছে হিসেব কষার পালা। যদিও ১ জুন ভোটপর্ব শেষ হতেই প্রকাশিত বুথফেরত সমীক্ষায় কিছুটা উজ্জিবীত গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে বুথফেরত সমীক্ষাকে খারিজ করে দিয়েছে ইন্ডিয়া জোট।
১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন। ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের সাত দফায় ৪৭ দিন ধরে দেশটির প্রায় ৬৫ কোটি ভোটার ( দেশজুড়ে গড় ভোট পড়েছে ৬৬ শতাংশ, ৯৭ কোটি ভোটার থেকে সেই শতাংশ ধরে এই ফিগার দেয়া হয়েছে ) প্রয়োগ করেছেন বিশ্বের বৃহত্তম ভোট উৎসবের গণতান্ত্রিক অধিকার। ৫৫ লাখ ইভিএমে বন্দি সেই গণরায় জানা যাবে আর কয়েক ঘণ্টা পরই।
ভারতজুড়ে এরই মধ্যে ভোট গণনা কেন্দ্রগুলোতে নেয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিন স্তরের এই ব্যবস্থায় প্রত্যেক গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে থাকছে ১৪৪ ধারা। কেন্দ্রের ভেতর ও বাইরে থাকছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশ সদস্যা ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের মাইক্রো অবজারভার নিয়োজিত থাকবেন গণনা কেন্দ্রে।
সকাল ৮ থেকে ভোট গণনা শুরু হবে। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম গণনা শুরুর আগে পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হবে। এরপর ভোটারের সংখ্যার অনুপাতে ইভিএম গণনার কাজ হবে। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নিজস্ব এজেন্ট থাকবেন কাউন্টিং স্টেশনে। থাকবেন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকও।
দীর্ঘ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এবার দেশটির ছয়টি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল ছাড়াও আড়াই হাজারের মতো প্রাদেশিক রাজনৈতিক দল নিজস্ব প্রতীকে লড়ছেন। নির্বাচনী যুদ্ধে সামিল হয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার প্রার্থী। মঙ্গলবার তাদের প্রত্যেকের ভাগ্য জানা যাবে।
এর মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাহুল গান্ধী, অভিষেক ব্যনার্জিসহ প্রায় শতাধিক হেভিওয়েট রাজনৈতিকের ভাগ্যও।
একইভাবে মঙ্গলবার জানা যাবে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার বিধানসভার ফলও। ১৭তম লোকসভা বা দ্বিতীয় মোদি সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ১৬ জুন। এর মধ্যে নির্বাচিত জোট বা দলকে গড়তে হবে সরকার। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ১০ জুনের মধ্যেই নতুন সরকার শপথ নেবে।