সমতট ডেস্ক :কুমিল্লা জেলা প্রশাসন পরিচালিত কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পদত্যাগ করা অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তারকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রোববার দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
রোববার নগরীর রাজগঞ্জ কম্পাউন্ডে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে ওই অধ্যক্ষ যোগদান করতে পারেন এমন খবরে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এতে যোগদানের চিঠি হাতে পেলেও কর্মস্থলে যেতে পারেননি তিনি।
জেলা প্রশাসন ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে গত ১৯ আগস্ট শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাস ছাড়েন অধ্যক্ষ নার্গিস। এ সময় তিনি একটি পদত্যাগ পত্রেও স্বাক্ষর করেন। যদিও অধ্যক্ষ দাবি করেছেন ‘জোরপূর্বক’ তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল।
এর পর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাহমিদা মুস্তফা। তবে গত ১২ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাবেক ওই অধ্যক্ষকে (নার্গিস) পুনরায় তাঁর কর্মস্থলে যোগদানের চিঠি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে রোববার প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলনে নামে। এতে আর কর্মস্থলে যাননি অধ্যক্ষ নার্গিস।
কলেজের জীববিজ্ঞানের শিক্ষক রিপন চক্রবর্তী বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করে এবং ২৬টিরও বেশি অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। এখন তাঁকে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়ার চিঠি দেয়া হলো কেন ?
অধ্যক্ষ এম নার্গিস আক্তার বলেন, ‘আমাকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে’ এমন অভিযোগে আমি উচ্চ আদালতে রিট করায় আদালত থেকে আমাকে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আমার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে কিনা তাও জানানো হয়নি। ৫/৬ জন শিক্ষক নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে লেলিয়ে দিয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
তবে রাতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার সমকালকে বলেন, উচ্চ আদালত এবং জেলা প্রশাসনে ওই অধ্যক্ষের আবেদন ছিল তাকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করানো হয়েছিল, উচ্চ আদালত বলেছে জোরপূর্বক নেওয়া পদত্যাগ পত্রের বৈধতা নেই। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কিছু বিষয়ে তদন্ত শেষ হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয়, এ নিয়ে এখনই মন্তব্য করা যাচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা কমিটি এ বিষয়ে সভা করে অধ্যক্ষের বিষয়ে বিধিমোতাবেক পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।’
সমতট ডেস্ক :কুমিল্লা জেলা প্রশাসন পরিচালিত কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পদত্যাগ করা অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তারকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রোববার দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
রোববার নগরীর রাজগঞ্জ কম্পাউন্ডে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে ওই অধ্যক্ষ যোগদান করতে পারেন এমন খবরে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এতে যোগদানের চিঠি হাতে পেলেও কর্মস্থলে যেতে পারেননি তিনি।
জেলা প্রশাসন ও কলেজ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে গত ১৯ আগস্ট শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ক্যাম্পাস ছাড়েন অধ্যক্ষ নার্গিস। এ সময় তিনি একটি পদত্যাগ পত্রেও স্বাক্ষর করেন। যদিও অধ্যক্ষ দাবি করেছেন ‘জোরপূর্বক’ তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল।
এর পর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাহমিদা মুস্তফা। তবে গত ১২ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাবেক ওই অধ্যক্ষকে (নার্গিস) পুনরায় তাঁর কর্মস্থলে যোগদানের চিঠি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে রোববার প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আবারও আন্দোলনে নামে। এতে আর কর্মস্থলে যাননি অধ্যক্ষ নার্গিস।
কলেজের জীববিজ্ঞানের শিক্ষক রিপন চক্রবর্তী বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করে এবং ২৬টিরও বেশি অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। এখন তাঁকে নতুন করে দায়িত্ব দেওয়ার চিঠি দেয়া হলো কেন ?
অধ্যক্ষ এম নার্গিস আক্তার বলেন, ‘আমাকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে’ এমন অভিযোগে আমি উচ্চ আদালতে রিট করায় আদালত থেকে আমাকে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আমার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে কিনা তাও জানানো হয়নি। ৫/৬ জন শিক্ষক নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে লেলিয়ে দিয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
তবে রাতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার সমকালকে বলেন, উচ্চ আদালত এবং জেলা প্রশাসনে ওই অধ্যক্ষের আবেদন ছিল তাকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করানো হয়েছিল, উচ্চ আদালত বলেছে জোরপূর্বক নেওয়া পদত্যাগ পত্রের বৈধতা নেই। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কিছু বিষয়ে তদন্ত শেষ হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গোপনীয়, এ নিয়ে এখনই মন্তব্য করা যাচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা কমিটি এ বিষয়ে সভা করে অধ্যক্ষের বিষয়ে বিধিমোতাবেক পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।’