সমতট ডেস্ক।। কুমিল্লায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তির লটারিতে একটি বালিকা বিদ্যালয়ে আরাফাত হোসেন নামে এক ছেলে শিক্ষার্থীর নাম এসেছে। বিষয়টি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কুমিল্লা নগরীর নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের লটারির ফলাফলে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে শিক্ষা প্রশাসন ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের ফরম পূরণ করার সময় ভুলে এ বিদ্যালয়ের নাম দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। যদিও ওই ছাত্রের বাবার দাবি, তাঁরা বালিকা বিদ্যালয়ের নাম পছন্দের তালিকায় দেননি।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির প্রভাতি শিফটে নাম এসেছে ১১০ জন শিক্ষার্থীর নাম। এর মধ্যে তালিকার ৪১ নম্বরে রয়েছে আরাফাত হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করেছে।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা আবুল কালাম বুধবার রাতে সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েদের স্কুলে কীভাবে আমার ছেলের নাম এসেছে। আমরা পছন্দের তালিকায় ওই স্কুলের নাম দেওয়া হয়নি। আমি কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা হাইস্কুল ও কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নাম দিয়েছি পছন্দের তালিকায়। আমার ছেলের নাম কুমিল্লা হাইস্কুলেও এসেছে। তাঁকে এখানেই ভর্তি করাবো।
নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার বলেন, লটারিতে আমাদের স্কুলে একজন ছেলে শিক্ষার্থীর নাম চলে এসেছে। অভিভাবকদের ভুলে এটা হয়েছে। মেয়েদের স্কুলে ছেলেদের ভর্তি হওয়ার সুযোগ নেই। তাই ওই শিক্ষার্থীর নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ভর্তির পুরো প্রক্রিয়াটি কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। এমন ভুল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অবশ্যই ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক বা যার মাধ্যমে আবেদন করেছেন তিনি ভুলক্রমে নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নাম পছন্দের তালিকায় দিয়েছেন।