প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৫, ০২:০০ এএম
সমতট ডেস্ক: গত ৪৮ ঘণ্টায় কুমিল্লায় ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অফিস, যা জনজীবনে ব্যাপক দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। শনিবার সকাল থেকে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লাজুড়ে কখনও ভারী আবার কখনও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই অবিরাম বৃষ্টিতে নগরী ও তার আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
নগরীর বিভিন্ন রাস্তায় সৃষ্ট খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় পথচারীদের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে কুমিল্লা নগরীর ঠাকুরপাড়া থেকে অশোকতলা সড়কের বিসিক শিল্পনগরী এলাকাজুড়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলোতে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে, যা এই পথে চলাচলকারী বাসিন্দাদের দুর্ভোগকে চরমে পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়াও, নগরীর নিচু এলাকার সড়কগুলোতেও পানি জমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বেশ কিছু বাসিন্দা জানান, কুমিল্লা মূলত যানজট ও জলাবদ্ধতার শহর। বর্ষার শুরুতেই সামান্য বৃষ্টিতে এ শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এই জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি কর্পোরেশন বছরব্যাপী নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালালেও, বর্ষা এলেই বাসিন্দাদের জলমগ্ন সড়কে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এবার এখনো নগরীর ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেনি সিটি কর্পোরেশন, যে কারণে বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন যে এবারের পুরো বর্ষা তাদের দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই কাটবে।
এদিকে, শনিবার রাতভর কুমিল্লার জেলার বিভিন্ন স্থানে বজ্রবৃষ্টির সাথে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বা তার অধিক গতিবেগে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। বজ্রবৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়ায় মানুষের বাড়িঘর এবং মাঠের ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
কুমিল্লা জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা ছৈয়দ আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, চলমান বজ্রবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া আগামী দুই থেকে তিনদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন যে এটি কালবৈশাখীর মৌসুম এবং বাংলার প্রকৃতিতে মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন মাস সবচেয়ে দুর্যোগপূর্ণ। এই মাসগুলোতেই সচরাচর বজ্রবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী আঘাত হানে। শনিবার রাতে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় মৌসুমী এই বজ্রবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া আঘাত হানে।